একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে জাতির উদ্দেশ্যে ১৫ মিনিটের মতো ভাষণ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। ইতিমধ্যে ভাষণের রেকর্ড সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় ভাষণটি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।
আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আসন্ন এই নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে চূড়ান্ত এই তারিখ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি। নির্বাচনের তারিখ জানতে দেশবাসীকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। বৈঠক শেষে কমিশনার শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সব কিছু ঠিকঠাক চলছে। সব কিছু ঠিকঠাক আছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ বিটিভি, বেতার ও পিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেখানে ছিলেন।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কক্ষ থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে চার নির্বাচন কমিশনার হাসিমুখে এক সঙ্গে বেরিয়ে আসেন। এতে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিটিভি, বেতারের রেকর্ডিং টিম প্রবেশ করে সিইসির কক্ষে। যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে ভাষণ রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়। এতে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ বিটিভি, বেতার ও পিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন।
সাড়ে ১২টার পর বৈঠক থেকে বেরিয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সিইসির কক্ষের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৫-৭ মিনিট পর বেরিয়ে আসেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
চারজন কয়েক মিনিট কথা বলে এক সঙ্গে লিফটে করে পঞ্চম তলায় উঠেন। প্রবেশ পথে আরও মিনিট কয়েক পরস্পর নিজেদের কাজ নিয়ে আলাপ করেন। এ সময় তিনজনই বেশ মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের।
এর আগে বুধবার সকালে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি আগামীকাল তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য সংবিধান অনুযায়ী, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৮ নভেম্বর তফসিল দিয়ে ২০ ডিসেম্বরের দিকে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে।