রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক চলছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে অপর চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত আছেন।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও মাহমুদুল হক মান্নাসহ জোটের ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
জানা গেছে, আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে তফসিল ঘোষণা পেছানোর দাবিটি আবারও তুলবেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। গত শনিবার জোটের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন তার লিখিত চিঠিতে সংলাপ শেষ হওয়ার পরে তফসিল ঘোষণার অনুরোধ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছাতে শনিবার ইসিকে চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যদিও একইদিন কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ৮ নভেম্বর দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
এদিকে রবিবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, 'আজকেই (৪ নভেম্বর) আমাদের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ৮ তারিখ তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা ৪ তারিখের পরিবর্তে ৮ তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই দিন অপরাহ্নে কোনো এক সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দ্বিতীয় সংলাপ আগামী বুধবার (৭ নভেম্বর) হতে যাচ্ছে। ওই দিন বেলা ১১টায় গণভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন ক্ষণ-গণনা শুরু হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানিয়েছে ইসি।