হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম এ দুই উপজেলা নিয়ে লালমনিরহাট-১ আসন। এ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে যে কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী গণসংযোগ করেছেন তাদের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আকন্দ একজন। আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে খ্যাত এ আসনে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। তার দাবি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ম্যাসেজ পেয়ে তিনি নেতৃত্ব শুন্য হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলায় বিএনপি’র হাল ধরার চেষ্টা করছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহীন আকন্দ ১৯৯৮ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। তিনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য থেকে শুরু করে ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ছাত্র নেতা ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। অল্প দিনের মধ্যে এলাকায় ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরী করেন শাহীন আকন্দ।
মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা শাহীন আকন্দ বলেন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতির জন্য উর্বর স্থান। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্ব না থাকার কারণে ১৯৯৬ সাল থেকে ওই আসনটি শরিক দলকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমি ওই এলাকায় নেতৃত্ব তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বুঝতে পেয়ে বয়সে তরুণ হলেও আমাকে দুই উপজেলায় দলকে গতিশীল করতে ম্যাসেজ দিয়েছেন। আমাকে প্রার্থী হতে প্রস্তুত নিতে বলেছেন। আমি তার ম্যাসেজ পেয়েই নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করছি।
বিএনপি’র অপর একজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে বহিরাগত ও হাইব্রিড উল্লেখ করে শাহীন আকন্দ বলেন, ওই মনোনয়ন প্রত্যাশীর জীবনের বেশি সময় কেটেছে পাশের একটি জেলায়। এখন নির্বাচনের আগে লালমনিরহাটে এসে মনোনয়নের স্বপ্ন দেখছেন। তারেক রহমানের কাছে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মধ্যে শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকা রয়েছে। ওই তালিকায় আমার নাম আছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা নেতাদের কারণে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় দলীয় কোন্দল বিরাজ করছে। তবে এতে আমার ভয় নেই, কারণ আমার নির্বাচনী এলাকার কর্মী-সমর্থকরা আমার সাথে আছেন। আমাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিজয়সহ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো।