পাগলাটে একটি ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর। লটিমের মতো বনবন করে অসম্ভব জোরে নিজের চার পাশেই ঘুরছে ওই ব্ল্যাকহোল। এর আগে আর কোনো ব্ল্যাকহোলে লাট্টুর মতো এত জোর ঘূর্ণি দেখা যায়নি।
অসম্ভব রকমের পাগলাটে এই ব্ল্যাকহোলের আভাস মিলেছিল নাসার মহাকাশযান চন্দ্র এক্সরে অবজারভেটরির পাঠানো তথ্যে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে চলেছে বিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ।
গবেষক দল জানাচ্ছে, এই ব্ল্যাকহোলটি রয়েছে দু’টি তারার একটি নক্ষত্রমণ্ডল বা বাইনারি সিস্টেমে। যেখানে আমাদের সূর্যের মতো রয়েছে দু’টি নক্ষত্র। তারা একে অন্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে উত্তরোত্তর কাছে চলে আসছে। আর ওই ব্ল্যাকহোলটি একটি নক্ষত্রের শরীরের অংশ গোগ্রাসে গিলে ফেলছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যত জোরে ঘোরা সম্ভব (ম্যাক্সিমাম পসিবল রেট) কোনো ব্ল্যাকহোলের, এই পাগলাটে মহাজাগতিক বস্তুটির ঘূর্ণি তার খুব কাছাকাছি। এর আগে যেসব ব্ল্যাকহোলের হদিস মিলেছে, তাদের কোনোটিকেই এত অসম্ভব জোরে ঘুরতে দেখা যায়নি।
গবেষকদের বক্তব্য, ওই বাইনারি সিস্টেমের নক্ষত্রটির আয়ু প্রায় শেষ হয়ে আসছে। তাকে ব্ল্যাকহোলটি গোগ্রাসে গিলে খাওয়ার সময় অভিকর্ষ বলের টান এতটাই জোরালো হচ্ছে যে, ওই মৃত্যুর মুখে দাঁড়ানো তারাটির শরীরের অংশগুলো একটি বিন্দুতে এসে জমা হচ্ছে। তারই জন্য ওই পাগলাটে ব্ল্যাকহোলের এই অসম্ভব জোর ঘূর্ণি।’
গবেষকরা জানাচ্ছেন, কোনো ব্ল্যাকহোলের ভর আর ঘূর্ণিটাই মাপা হয় তার চরিত্রের খুঁটিনাটি জানতে। কিন্তু কোনো ব্ল্যাকহোলের ঘূর্ণি মাপাটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। অ্যাস্ট্রোস্যাট সেই কঠিন কাজটাকেই সহজ করেছে।