পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ইনানী সমুদ্র সৈকত। সাগরপাড়ে বালুর ওপর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে শত শত বছরের পুরাতন পাথর। সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে পাথরের ওপর। তাই আর দেরি না করে ছুটির দিনগুলোতে ঘুরে আসুন ইনানী সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার আর হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী সমুদ্র সৈকত। ভাটার সময় ইনানী সমুদ্র সৈকতে সেন্টমার্টিনের মতো প্রবাল পাথরের দেখা মেলে। এখানে কক্সবাজারের মতো সাগর এত উত্তাল থাকে না। আর এই শান্ত সাগরই পর্যটকদের আরো বেশি বিমোহিত করে। সাধারণত বিকেল বেলায় ইনানী সৈকত ভ্রমণের আদর্শ সময়।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনানী সৈকত। এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রবাল পাথর। সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে এর অনেকাংশেই মিল খুঁজে পাওয়া যায়। চমৎকার, ছিমছাম ও নিরিবিলি এলাকা হিসেবে এর সুনাম রয়েছে।
আপনি চাইলে সমুদ্রসৈকতে বিচ বাইকে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এক মাথা থেকে অন্য মাথা। তাছাড়া সৈকতে প্রবালের ওপর দাঁড়িয়ে সাগরের দৃশ্য দেখার মজাই আলাদা। সাগরের ঢেউগুলো প্রবালের গায়ে আঘাত লেগে পায়ের কাছে আছড়ে পড়ে। স্বচ্ছ জলের তলায় দেখা যায় বালুর স্তর। অনেক সময় হরেক রকম মাছের ছুটাছুটি দেখা যায়।
বিস্তীর্ণ বালুকা বেলায় ছুটে বেড়ায় হাজারো লাল কাঁকড়ার দল। পাহাড়ে নানা রকম ঝোপঝাড়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকত পাড়ে দেখা যায় সুদূর ঝাউগাছের সারি। মাঝে মধ্যে নারিকেল গাছের এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য, যা সৌন্দর্যের ভিন্ন মাত্রা প্রকাশ করে।
ইনানী সৈকতে যেভাবে যাওয়া যাবে:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত থেকে লোকাল জিপে গেলে যাওয়া-আসার ভাড়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। রিজার্ভ জিপে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা। একটি জিপে ১০-১৫ জন বসা সম্ভব। এছাড়া সিএনজি অটোতেও যাওয়া যায়।