হাসান বখস, কাতার প্রতিনিধি:
ফুটবল বিশ্বকাপে দল বাড়ানো নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফান্তিনো বলেছেন, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপই ৪৮টি দল নিয়ে আয়োজন করা সম্ভব । এ বিষয়ে আগামী বছরের শুরুতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে কাতারের সঙ্গে অন্য দেশকে আয়োজক করার প্রয়োজন হলে তার সম্ভাবনাও যাচাই করে দেখবে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
এ বছরের শুরুতে ৩২ দলের বদলে ২০২৬ বিশ্বকাপ ৪৮ দলে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার এই আসর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয়। এখন কাতার বিশ্বকাপও ৪৮ দল নিয়ে করার সম্ভাবনার কথা জানালেন ফিফা প্রধান।
এশিয়ান ফুটবলের বার্ষিক সভায় তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের চূড়ান্ত আসরে ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ দল অংশগ্রহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আর তা হবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। ২০২২ সালেও এমন হবে কি-না? আমরা বিষয়টি দেখছি। যদি তা সম্ভব হয়, কেন নয়?”
আমাদের দেখতে হবে এটা সম্ভব কি-না, সফল হওয়া যাবে কি-না। আমরা বিষয়টা নিয়ে আমাদের কাতারি বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করছি। এই অঞ্চলে আমাদের অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গেও বিষয়টা আলোচনা করছি। আশা করছি, এটা হতে পারে।
২০১০ সালের ভোটে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের দেশ কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে ৩২ দলের টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
গত বছরের জুন মাস থেকে কাতার তার বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর কুটনৈতিক, পরিবহণ ও বানিজ্যিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। কাতার অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।
ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও দল বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানান ইনফান্তিনো।
এদিকে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল তাওয়াদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ৪৮ দলের অংশগ্রহণের প্রস্তাবটি নিয়ে তারা যাচাই-বাছাই করছেন।
তিনি বলেন, এটি নিয়ে আমরা এখনো প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করছি। অচিরেই এ বিষয়ে আমরা একটি ভালো সিদ্ধান্ত দিতে পারবো।
তিনি বলেন, অবরোধ সত্ত্বেও যথানিয়মেই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। তাওয়াদি বলেন, কাজগুলো স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নিতে পেরে আমরা খুশি এবং রোমাঞ্চিত। এই কাজ সঠিক পথেই এগুচ্ছে। ২০২০-২০২১ সালের মধ্যেই বিশ্বকাপের জন্য ৮টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে।