স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীরা চার্জ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হন। কিন্তু হুয়াওয়ে মেইট টুয়েন্টি সিরিজের স্মার্টফোন ব্যবহারে চার্জের সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে না আর। মাত্র পাঁচ মিনিটের চার্জে সারা দিন ব্যবহার করা যাবে।
মেইট টুয়েন্টি সিরিজের ডিভাইসে রয়েছে ৪২০০ এমইএইচ ব্যাটারি। দ্রুত চার্জের জন্য রয়েছে তার এবং তারবিহীন সুপার চার্জের সুবিধা। এর সঙ্গে রয়েছে চমকপ্রদ রিভার্স চার্জিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে চার্জ ফুরিয়ে গেলে আরেকটি মেইট স্মার্টফোনের সঙ্গে পাশাপাশি ধরেই চার্জ করা যাবে। চার্জারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ফোনে জার্মানির টিইউভি সার্টিফায়েড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
২৬ অক্টোবর শুক্রবার চীনের সাংহাইতে অত্যাধুনিক এ ফ্লাগশিপ ফোনটি উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও হুয়াওয়ে মেইট টুয়েন্টি সিরিজের চারটি আলাদা সংস্করণে রয়েছে বন আইডি (ভয়েস রিকগনিশন) প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ভয়েসের মাধ্যমে সহজেই ফোনটি আনলক করা যাবে। এছাড়া আঙুলের ছাপ এবং থ্রিডি ফেইস আইডির মাধ্যমেও ফোনটি আনলক করা যাবে।
ফ্লাগশিপ এ ডিভাইসের প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চিপ কিরিন ৯৮০। ৬.৫, ৬.৩ এবং ৭.২ ইঞ্চি -এ তিনটি আকারের ফুল ও এলইডি পর্দার ফোন পাওয়া যাবে। মেইট টুয়েন্টি সিরিজের রম আর র্যামের চারটি ভিন্ন কনফিগারেশনের মধ্যে সর্বনিম্ন র্যাম ৬ জিবি এবং রম ৫১২ জিবি।
পানি ও ধুলোবালি নিরোধক এ ফোনটিতে রয়েছে তারবিহীন প্রজেক্টর সুবিধা। এতে
ল্যাপটপ লেভেলের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনেই নেটবুক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পাবেন, যা ব্যবহারকারীর কাজের গতিকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে।
মেইট টুয়েন্টি সিরিজের পেছনে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। এর মধ্যে একটি ক্যামেরা ৪০ মেগা পিক্সেলের। অন্য দুটি যথাক্রমে- ৮ মেগা পিক্সেলের টেলিফটো এবং ২০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ক্যামেরা। সব মিলিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২৭০ মিলি মিটার জুম লেন্সের সুবিধা পাওয়া যাবে ফোনটিতে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সুবিধা থাকা এ ডিভাইসের ক্যামেরা শুধু ছবি তোলার জন্যই নয়, বিভিন্ন তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করবে। যেমন- কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালরি আছে, তা জানিয়ে দেবে ফোনটি। কোনকিছুর ছবি তুলে সেটিকে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে।
মেইট টুয়েন্টির ডিজাইনেও এসেছে পরিবর্তন। আগের স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় বেড়েছে পর্দার আকার। বেশির ভাগ স্মার্টফোনে পেছনে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সুবিধা থাকলেও মেইট টুয়েন্টিতে সেটি ভেসে উঠবে সামনের পর্দাতেই।
১৬ অক্টোবর থেকে ইউরোপের বাজারে আসা মেইট সিরিজের ফোনটির সর্বনিম্ন মূল্য ৭৯৯ ইউরো এবং সবচেয়ে দামি পোরশে ডিজাইনে মেইট টুয়েন্টি সর্বোচ্চ মূল্য ২০৯৫ ইউরো।