দামুড়হুদা-জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-২ আসন। এই আসনে মোট ভোটার সংখা ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২লক্ষ ৮ হাজার ৪১, মহিলা ২লক্ষ ৬ হাজার ৭১৯ জন।
আর মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখা ১২জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮ জন, বিএনপির ২জন, জামায়াতের ১জন ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ১জন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান এমপি আলি আজগার টগর, সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহাফুজুর রহমান মনজু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক হাশেম রেজা দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক নুর হাকিম, বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান বকুল ও দর্শনা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান।
আর বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার মখলেছুর রহমান রহমান টিপু তরফদার ও মাহামুদুর রহমান খান বাবু। জাতীয় পার্টির দুলু উদ্দীন জোয়ার্দ্দার ও জামায়াতের রুহুল আমিন।
তবে আওয়ামী লীগের ৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলে ও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ৫ জন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগার টগর দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসাবে এলাকার অধিকাংশ নেতাকর্মী রয়েছেন তার সাথে। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে করে উন্নয়নের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক নতুন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নির্বাচনী এলাকায় গ্রাম, পাড়া মহল্লায় বিরামহীন ভাবে গণসংযোগ, কর্মীসভা করছেন ও সাধারণ মানুষের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। পুরাতন নেতাকর্মী তার সাথে তেমন দেখা না গেলেও এলাকার অনেক নেতা কর্মী রয়েছে তার সাথে। এছাড়াও জীবননগর উপজেলায় একক মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। দলীয় মনোনয়ন পেলে আঞ্চলিক টানে ও তিনি অনেকটায় সুবিধা করতে পারবেন বলে অনেকে মনে করছেন। জীবননগর উপজেলায় ভোটার সংখা ১লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন।
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ক্লিন এমেজের মানুষ মাহাফুজুর রহমান মনজু তিনি ও প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন পিছিয়ে নেয় তিনি।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক হাশেম রেজা মাঝে মধ্যে এলাকাতে এসে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকযোগে শোডাউন দিয়ে বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান বকুল নতুন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে তার সাথে তেমন কোন নেতাকর্মীদের যোগাযোগ না থাকায় তিনি নির্বাচনী এলাকার বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মঞ্চের বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের নিয়ে মাদকে না বলি শ্লোগান নিয়ে এলাকায় উঠতি বয়সি যুবকদের খেলার মাঠমুখি করতে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ফুটবল খেলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার করে আসছেন।
দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক নুর হাকিম তিনি প্রচার প্রচারণা চালালে ও এলাকায় তেমন কোন সাড়া জাগাতে পারেনি শুধু মাত্র বিলবোর্ডের মধ্যেই তিনি সীমাবদ্ধ। আজাদুল ইসলাম আজাদ ও মতিয়ার রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রচার করলে ও তারা এখোনা নির্বাচনি মাঠে নামেনি।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাসী মাহামুদুর রহমান খান বাবু মাঝে মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করলেও চোখে পড়ার মতো নয়। ইঞ্জিনিয়ার মখলেছুর রহমান টিপু তরফদার তিনি নিয়মিত ত্যাগী নেতাকর্মী সাথে নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ করে চলেছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুলু উদ্দীন জোয়ার্দ্দার দীর্ঘদিন এলাকায় গণসংযোগ রলেও বর্তমানে তিনি নির্বাচনী মাঠে নেই। তবে তিনি খুব দ্রুত নির্বাচনী মাঠে নামবেন বলে জানিয়েছেন।
জামায়তের প্রার্থী রুহুল আমিন তিনি ও মনোনয়ন চাইবেন বলে প্রচার করলেও তিনি এখোনো মাঠে নামেননি।