সারাবিশ্বে ভালো বা মন্দসহ বেশকিছু কারণেই অনেক সম্প্রদায় বা উপজাতি বিশেষভাবে পরিচিত। তবে হানজা সম্প্রদায়ের নাম পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর কারণে। হানজা উপত্যকায় বাস করে বলে তারা ‘হানজা সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত।
সাধারণ মানুষের তুলনায় এই সম্প্রদায়ের মানুষ বেশিদিন বাঁচে বলেও একটা কথা প্রচলিত আছে। বলা হয়, একজন সাধারণ নারী যেখানে ৬০ বছর বাঁচার কথা চিন্তাভাবনা করে, সেখানে হানজা সম্প্রদায়ের নারীরা ১৬০ বছরেরও বেশিদিন বাঁচে।
হ্যাঁ, এটিই পৃথিবীর একমাত্র সম্প্রদায় যারা গড়ে ১০০ বছরেরও বেশিদিন বাঁচে। আরও একটি বিস্ময়কর তথ্য হলো এই সুন্দরী নারীরা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান জন্মদানে সক্ষম। গ্রীক বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এই সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষ বলে দাবি করে তারা।
আফগানিস্তান ও চীনের সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের একেবারে উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হানজা উপত্যকায় বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের এই সম্প্রদায়ের বাস। তারা পাহাড়ের একটি ছোট অঞ্চলে বসবাস করে এবং নিজেদের মধ্যেই বিয়ে করে থাকে।
হানজা সম্প্রদায়ের সৌন্দর্য এবং আয়ু কেন এত বেশি তা জানার জন্য অনেক ধরনের গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, তারা ধরাবাঁধা জীবনযাপন করে। দিনে দুই বেলা খায় এবং অনেক কায়িক পরিশ্রমের কাজ করে।
এই সম্প্রদায়ের ৯৯ শতাংশ মানুষই ভেজিটেরিয়ান এবং তাদের খাদ্যদ্রব্যগুলোর বেশিরভাগই তৈরি পনির, দুধ, বাদাম এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য থেকে। শিশুকাল থেকেই এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের সৌন্দর্য বিকশিত হতে শুরু করে।
এসব নারীর সৌন্দর্যের একটি গোপন রহস্য হলো তারা পানির চেয়ে মদ পান করে বেশি। এছাড়া তারা তাদের অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের আরেকটি কারণ হলো যোগব্যায়াম। দিনের কাজ শুরু করার আগে সকালে তারা কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা যোগব্যায়াম করে।
উপত্যকায় বাস করা এই হানজা সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়মিত শ্বাসক্রিয়ার ব্যায়াম করে, যা তাদের চর্ম ও শরীরকে নানাভাবে উপকৃত করে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার হার ৯০ শতাংশের ওপরে বলে শোনা যায়।