দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি প্রঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ‘২য় ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮’,‘২১তম পাওয়ার বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৮’ এবং “২৩তম কন-এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৮’ শীর্ষক ত্রিমাত্রিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সুয়েকা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, নিজস্ব শিল্পের বিকাশ এবং আমদানিবিকল্প পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকার বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শুল্ক সুবিধাসহ উদ্যোক্তাদের যে কোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
শিল্পমন্ত্রী রপ্তানির পরিবর্তে দেশেই জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে তুলতে শিল্পোদ্যাক্তাদের পরামর্শ দেন।
সেমস্-গ্লোবাল-ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম রুখসানা কাদের, পারটেক্স স্টার গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার খালিদ মাহমুদ, এম. আলম অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাব আলম এবং ম্যাক্স গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক কাজী ইয়ামিনুর রশিদ বক্তৃতা করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী শিল্প সহায়ক অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকার গত দশ বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ইলেক্ট্রনিক পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করতে বিএসটিআই ‘এনার্জি এফিসিয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ডস্ অ্যান্ড লেবেলিং’ মান প্রণয়ন এবং ‘এনার্জি স্টার লেবেল’ সনদ দিচ্ছে। এর ফলে ভোক্তা সাধারণ, ইলেক্ট্রনিক পণ্যের উৎপাদক, আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য ও নিরাপদ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের সচেতনতা বাড়ছে। পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে নিম্নমানের বোতল ও জারের পানি বাজারজাতের বিরুদ্ধে বিএসটিআই এর বিশেষ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।