সব বয়সের মানুষই শীতের আগমনে যে বিপত্তিতে সবচেয়ে বেশি পড়ে, সেটি হচ্ছে ঠোঁট ফাটা।
চলুন জেনে নিই আপনার হাতের কাছেই ঠোঁট ফাটা রোধ করার কিছু সমাধান-
মধু ও গোলাপ জল-
খুব বেশি ঠোঁট ফেটে গেলে এবং ঠোঁট কালচে হয়ে গেলে ব্যবহার করুন মধু এবং গোলাপ জল। এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ঠোঁটে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত চারবার এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগানোর চেষ্টা করুন।
গ্রীন টি-
অনেকেই জানেন না, গ্রীন টি ব্যাগ খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এক ব্যাগ গ্রীন টি ব্যাগ গরম পানিতে ভিজিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে ৪-৫ মিনিট ঠোঁটে ধরে রাখুন। কাজে লাগবে।
লিপবাম-
ঠোঁটের যত্নে ভালো মানের লিপবাম ব্যবহারের কোনো জুড়ি নেই।
লেবুর রস-
এক চা চামচ দুধের সরের সঙ্গে তিন ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ঠোঁটে দিয়ে ঘুমাতে যান। সুফল পাওয়ার জন্য অন্তত তিনদিন ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা-
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করা ছাড়া ও ঠোঁটকেও দেয় সুরক্ষা। একটুকরো অ্যালোভেরা পাতা নিন। সেটি চিপে রস বের করে ঠোঁটের উপর লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শসা-
এক টুকরা শসা নিয়ে ঠোঁটের উপর ভালো করে ঘষুন। দিনে যতবার খুশি ততবার এটি করা যাবে। এতে ঠোঁট ফাটা কমে যাবে।
নারকেল তেল-
নারকেল তেল লাগালে ঠোঁট ফাটা সেরে যায় সহজেই। কয়েক ফোটা তেল ঠোঁটের উপর লাগিয়ে নিন। নারকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন।
প্রচুর পানি পান করুন-
ঠোঁট ফাটার সমস্যা অনেক বেশী শুরু হয় যখন মানুষের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। শীতকালে সাধারণত মানুষ পানি একটু কম খায়। তাই, যেভাবেই হোক পানি খেয়ে দেহকে হাইড্রেট রাখুন।
গ্লিসারিন-
ঠোঁট ফেটে গেলে দারুণ এক কাজের জিনিশ গ্লিসারিন। রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন লাগিয়ে রাখুন। টোটকার মতো কাজ করবে।
মধু-
মধু খুবই উপকারী ঠোঁট ফাটা রোধে। কটন বাডসে মধু নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। বিশ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়ার জন্য দিনে তিনবার মধু লাগান। সমস্যাটি কেটে যাবে।