ভারতীয় অভিনেতা অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ তুলেছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় ভারতীয় টিভি ধারাবাহিক ‘তারা’ এর লেখক ও প্রযোজক বিনতা নন্দা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে ধর্ষণের এ ঘটনা জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে পোস্টে বিনতা নন্দা জানান, অলোক নাথের বিনতা নন্দার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন। সেই সুবাদে একদিন অলোক নাথ তাকে একটি পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়। তবে অলোক নাথের স্ত্রী শহরের বাইরে ছিলেন ঐ দিন।
নিজের ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঐ দিন সন্ধ্যায় আমার পানীয়তে কিছু একটা মেশানো হয়েছিল। পানীয় পান করার পর থেকে অন্যরকম লাগতে শুরু করে। রাত প্রায় ২টার দিকে আমি সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। কেউ আমার সঙ্গে আসেনি এবং আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে চায়নি। যেটা আমার কাছে আশ্চর্য লেগেছিল। আমি ফাঁকা পথ ধরে হাঁটতে থাকি, যদিও আমার বাড়ি অনেক দূরে ছিল। মাঝপথে ওই অভিনেতা নিজেই গাড়ি চালিয়ে আমার পিছু নেন। তিনি বলেন, বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আমি তাকে বিশ্বাস করি এবং গাড়িতে বসি। এরপরের স্মৃতিগুলো খুবই অস্পষ্ট। শুধু মনে আছে, আমার মুখে জোর করে কেবল মদ ঢেলে দেওয়া হচ্ছিল এবং নির্যাতন করা হচ্ছিল। পরদিন বিকেলে যখন ঘুম থেকে উঠি সারা শরীরে অসহ্য ব্যথা অনুভব করি। আমি শুধু ধর্ষণের শিকারই হইনি, আমাকে নিজের বাড়িতে নির্মমভাবে নির্যাতনও করা হয়েছিল।’
তিনি আরো জানান, এ বিষয়টি প্রকাশ করতে তাকে ১৯ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে তিনি যে ব্যক্তির কথা বলেছেন তাকে ভারতীয় টেলিভিশন ও সিনেমা জগতে সবাই ‘সংস্কারি’ (রক্ষণশীল) নামে চেনেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এতে বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি অলোক নাথের কথাই বলতে চেয়েছেন। এছাড়া পরবর্তীতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “অলোক নাথের কথাই বলেছি। আমি মনে করেছিলাম ‘সংস্কারি’ বললেই সবাই চিনবেন।”