'দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য ব্যাংকের বোর্ড ও ম্যানেজমেন্ট আলাদা হওয়া দরকার। তা না হলে ব্যাংকিং সেক্টর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মানুষের মাঝে অর্থনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা দরকার। এতে খুব সহজেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।'
মঙ্গরবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (বিইউবিটি) আয়োজিত দু'দিনের 'সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট থ্রু ক্রস বর্ডার কো-অপারেশন' শীর্ষক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পুজিঁবাজার নিয়ে বক্তারা বলেন, দেশের বাজারে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য মনিটরিং দরকার। এ মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানো গেলে এ সেক্টরে অস্থিরতা বহুলাংশে কমে আসবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ৭২ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পারিবারিকভানে নিয়ন্ত্রিত। এ জন্য তারা বিভিন্নভাবে অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তাই প্রতিষ্ঠাগুলোতে স্বচ্ছতার অভাব দেখা দেয়।
এ সময় তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রোল মডেল। বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণ এক বিশাল ভূমিকা রাখছে। যদিও এর কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বোর্ডের হস্তক্ষেপ। ম্যানেজমেন্টের কাজ হচ্ছে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা। কিন্তু বোর্ডের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ সময় সমাপনী দিনে চারটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়গুলো হচ্ছে- সাধারণ অর্থনীতি সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বিশিষ্ট ফ্যেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এ পর্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. এম শাহাদাত হোসেন সিদ্দিক, বিইউবিটির বিজনেস বিভাগের প্রফেসর ও ডিন ড. সৈয়দ মাসুদ হোসেন।
দ্বিতীয় পর্বে ফাইন্যান্স স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেট এন্ড গভর্নেন্স। এর সভাপতিত্ব করেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রসেসর ড. এবি. মির্জা আজিজুল ইসলাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল প্রফেসর ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে. এ. এম মাজেদুর রহমান।
এ ছাড়া দিনব্যাপী এই 'কনফারেন্সে এডভান্স অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স অব সোস্যাল ডেভোলেপমেন্ট' শীর্ষক আরও দুটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপনে জানানো হয়, দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ মালিকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যার কারণে তাদের দায়িত্বরত কাজে সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে না। কারণ সব বিষয়ে মালিকের হস্তক্ষেপ থাকে।