ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খান। প্রায় দুই দশকের অভিনয়জীবনে শতাধিক সিনেমায় কাজ করে পেয়েছেন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। দর্শক চাহিদার কারণে একটা সময় তাঁকে টেনে নিয়ে যায় সীমানার ওপারে। প্রথম সিনেমা ‘শিকারি’ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকদের মন জয় করেন । এই ছবিতে নতুন লুকের শাকিব রীতিমতো সবাইকে চমকে দেন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশের প্রথম চেইন সিনেপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সের ১৪ তম বর্ষপূর্তি ছিল। এ উপলক্ষে সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত ১০ টি বাংলা চলচ্চিত্রকে সেরার সম্মাননা দেয়া হয়। এই তালিকায় শাকিব অভিনীত যৌথ প্রযোজনার ছবি শিকারি সেরার সম্মাননা পায়। বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে এসে এই উপলব্ধির কথা শোনালেন শাকিব খান।
'আমি যখন শিকারির শুটিংয়ে কলকাতা গেলাম, বললাম আমি শাকিব খান অনলি ওয়ান নাম্বার ওয়ান সুপারস্টার ইন বাংলাদেশ। তখনই আমি দেখেছি, সেখানকার টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, আমি কি করি।'
শাকিব বলেন, আমার প্রথম যৌথ প্রযোজনার সিনেমা, ইন্টারন্যাশনাল মানের সিনেমা। এই সিনেমা দিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি শিল্পীর কোনো দেশ নেই, গণ্ডি নেই। শিল্পীর জন্য পুরো পৃথিবী উন্মুক্ত। শিকারি’তে কাজের সময় চেষ্টা করেছি, আমার দেশের সম্মান রক্ষার জন্য। শুধু তাই নয়, যখনই দেশের বাইরে কাজ করি সবসময় দেশ ও ইন্ডাস্ট্রির সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
এই অভিনেতা বলেন, ঠিক ওই সময় আমার ভেতরে কাজ করেছে, আমি ফেল করলে আমার ইন্ডাস্ট্রি ফেল করবে। ভেবেছিলাম আমি যদি সেরাটা না দিতে পারি, তবে লজ্জিত হবে আমার ইন্ডাস্ট্রি। আমার ইন্ডাস্ট্রির গুণী মানুষগুলো।
জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শিকারি’ ছবি প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন বাংলাদেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তার এই ছবিটিকে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তাদের ১৪ তম বর্ষপূর্তিতে (৮ অক্টোবর) পুরস্কার প্রদান করেছে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আকবর পাঠান ফারুক, শাকিব খান, ফেরদৌস, রিয়াজ, ওমর সানী, পপি, শহিদুজ্জামান সেলিম, জয়া আহসান, পূর্ণিমা, চঞ্চল চৌধুরী, আরিফিন শুভ, কনা, রৌশান, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অনিমেষ আইচ, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, রেদওয়ান রনি, ভাবনা প্রমুখ।
এদিকে ওমর সানী, রিয়াজ, ফেরদৌস ও শাকিব খানকে একসঙ্গে দেখে উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় তাঁদের মঞ্চে ডেকে নেন। তাঁর আমন্ত্রণে মঞ্চে যান বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় এই চার নায়ক। তাঁরা মঞ্চে কথা বলেন সিনেপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আর দেশের সিনেমা নিয়ে।
২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। দীর্ঘ ১৪ বছরে এই প্রেক্ষাগৃহে হলিউডের ছবির পাশাপাশি দেশের ছবিও প্রদর্শন করা হয়। এসব ছবির মধ্যে ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পাওয়া ও দর্শকপ্রিয় ছবিগুলো হচ্ছে ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘মনপুরা’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘গেরিলা’, ‘চোরাবালি’, ‘প্রজাপতি’, ‘জিরো ডিগ্রি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘শিকারি’, ‘আয়নাবাজি’ ও ‘ভুবন মাঝি’। ছবির অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা কিংবা প্রযোজক উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার প্রদান করেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।