Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাড়ির বাগানে বিরল প্রজাতির বিষধর দু'মুখো সাপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫১ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সাপ মানেই মানুষের অদ্ভুত ভয়। আর সাপ যদি দু’মুখো হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই দ্বিগুণ হয়ে যায় সেই ভয়।

সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার উডব্রিজে উদ্ধার হওয়া এই সাপটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন একজন বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ। বেশ ভাইরাল হয়ে গেছে বিচিত্র এই দুর্লভ সাপটির ছবি।

দুই মাথাওয়ালা সাপ খুব কমই দেখা যায় পৃথিবীতে। সরীসৃপ-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ক্লেওপফার জানান এই সাপটি 'অত্যন্ত বিরল'। তিন দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেও এমন জিনিস আগে দেখেননি তিনি।

তিনি আরো জানান, এই দুই মাথাওয়ালা সাপ আসলে মানুষের যমজ বাচ্চার মতোই। যখন ভ্রূণ দুই যমজে ভাগ হতে শুরু করেও থেমে যায় তখন এমনটা হয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ছয় থেকে আট ইঞ্চি লম্বা এই সাপটির বয়স প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে একজন নারী উডব্রিজে তার বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় নিজের বাগানে ওই সাপটিকে দেখতে পান তিনি। তিনি ভীষণ ভয় পেয়ে যান যে, এটি বাড়ির পোষা প্রাণী এবং বাচ্চাদের ক্ষতি করতে পারে। ছবি তুলে একটি গ্রুপে সেটি শেয়ার করেন তিনি। সেখান থেকেই পরে জানা যায় এই সাপটি কতখানি বিরল।

ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন সাপটিকে চেনার পর অন্তত ছয়জন ব্যক্তি, যার মধ্যে একজন একটি ব্যক্তিগত জাদুঘরের মালিক, তারা সাপটি তার কাছ থেকে পর্যাপ্ত মূল্যে কিনে নিতে চান।

ক্লেওপফার, ওই রাজ্যের বিখ্যাত সর্পবিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন এই দু’মুখো সাপটিকে পাওয়া তার কর্মজীবনের একটি বিশাল মাইলস্টোন। এই প্রথমবার যে ভার্জিনিয়া থেকে দু’মুখো সাপ পাওয়া গেছে তাই নয়। ১৯৯০ সালে, এক শার্লোটেসভিলে এমনই একটি সাপ পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু সেটিকে মেরে ফেলা হয়েছিল।

তার ফেসবুক পোস্টে ক্লেওপফার জানিয়েছেন, বাম মাথায় বেশ শক্তিশালী অন্ননালী রয়েছে। আবার ডানদিকের মাথার সঙ্গে রয়েছে ভালো গলা যা খাবার খাওয়ার পক্ষে বেশ সুবিধাজনক। এই সাপটির একটাই হৃৎপিণ্ড, একজোড়াই ফুসফুস। দু’টি মাথাতেই আছে বিষ।

'অ্যানাটমির উপর ভিত্তি করে বলতে গেলে ডান দিকের মাথা যদি আগে খায় সেটাই ভালো হয়, কিন্তু সেটা বেশ কঠিন কারণ বাঁদিকের মাথা বেশ প্রভাবশালী হয়' বলে জানিয়েছে ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার অফ ভার্জিনিয়া।

ক্লেওপফার জানান, কর্মকর্তারা আশা করছেন এই বিরল সাপ অবশেষে একটি চিড়িয়াখানায় দান করা হবে। কিন্তু তার প্রথম উদ্বেগ হলো এটিকে ভালো করে খাইয়ে বড় করা, যাতে দু’ থেকে তিন মাস সময় লাগবে।

এক্স রে রিপোর্ট দেখে তিনি জানিয়েছেন, এই সাপটির দুটি মেরুদণ্ড রয়েছে। দুই মাথাওয়ালা সাপ প্রকৃতিতে বেঁচে থাকাও বেশ সমস্যার। সব থেকে সমস্যা হচ্ছে একই শরীরের দুই মাথার মধ্যে লড়াই লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন দুই মাথাওয়ালা সাপের কে আগে শিকারকে খাবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে লড়াই হয়ে যায়। খেতে সময় লাগে, ফলে অন্য মাথার সাপটি সেই সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কোন দিকে যাবে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয় দু’মুখো সাপেদের।

Bootstrap Image Preview