সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় আগাম জাতের ক্ষিরা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। মাঠে বন্যার পানি জমা থাকলেও উঁচু জমিতে তারা চাষাবাদ করছে। বন্যার পানি জমিতে যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সম্ভাব্য পানি প্রবেশের রাস্তাগুলো মাটির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে পালাক্রমে পাহাড়া দিচ্ছেন চাষীরা।
সরেজমিনে গাড়াদহ গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় একশ বিঘা জমিতে আগাম ক্ষিরার চাষ করেছেন চাষীরা। জমি উত্তমরুপে চাষবাস করে ভাল জাতের ক্ষিরার বীজ বোপন করেছে তারা। বীজগুলো অঙ্কুরোদগম হয়ে লতায় পরিনত হয়েছে। জমিতে নিরানী দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দিন রাত পরিশ্রম করে ফসলটি ফলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। মাঠে ঘুরে ঘুরে পরামর্শ দিতে দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকেও। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে খুব শীঘ্রই কৃষকেরা জমি থেকে ক্ষিরা সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
গাড়াদহ গ্রামের ক্ষিরা চাষী রোশনাই প্রামাণিক জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও তিনি তিন বিঘা জমিতে ক্ষিরার চাষ করেছেন। চাষবাস থেকে শুরু করে এ যাবৎ প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরো প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ফলন ভালো হয় এবং কোন বিপদ না আসে তাহলে তিন বিঘা জমি থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে বলেও জানান তিনি।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনজু আলম সরকার বলেন, ‘এ বছরে প্রায় দুইশ হেক্টর জমিতে ক্ষিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অনেক উঁচু জায়গাগুলোতে আগাম জাতের ক্ষিরার চাষ শুরু হয়েছে। বন্যার পরেও নিচু জমিতে ক্ষিরার চাষ হবে। এই ফসলটি দুই মাসের ফসল। বোপনের ত্রিশ দিনের মধ্যেই ফসল হারভেষ্ট শুরু হয়। তাছাড়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও কৃষকদের সাহায্য করছে। আশা করি ভাল ফলন ও দাম পেলে চাষীরা লাভবান হবেন।’