টার্কি মুরগি বিদেশি পাখি হলেও দেশে ক্রমেই এর চাহিদা বাড়ছে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কালিয়া গামে টার্কি পাখি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চলেছেন আবু সালেহ।
১১ হাজার টাকা দিয়ে মাত্র ৪১ টি মুরগি কিনে চাষ শুরু করেন তিনি। মাত্র সাত মাসের মাথায় এখন তার খামারে টার্কির সংখ্যা প্রায় ২ শতাধিক, যার দাম ৫ লক্ষাধিক টাকা। সুস্বাদু এ পাখির মাংস, পাখি, ডিম ও বাচ্চা কিনতে আবু সালেহর খামারে এখন ভিড় করছেন অনেকেই।
একেকটি টার্কির ওজন কমপক্ষে ৮-১০ কেজি হয়। একজোড়া টার্কি বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়।
জানা যায়, ছয় মাসের মধ্যে ডিম দেয় টার্কি মুরগি। বছরে ২৩০টার বেশি ডিম দেয়। ছয় মাসের মেয়ে টার্কির ওজন হয় পাঁচ থেকে ছয় কেজি। আর পুরুষগুলোর প্রায় আট কেজি। মুরগির মাংসের মতো করেই টার্কি রান্না করা হয়। রোস্ট ও কাবাবও করা যায়।
আবু সালেহ জানান, বছর শেষ না হতেই তার হাতে এখন ৫ লাখ টাকার পুঁজি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। তার কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে অনেক শৌখিন খামারি ছোট আকারে টার্কি পালন শুরু করেছেন। তার দেখাদেখি নবাবগঞ্জের পুটিমারা ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে কয়েকটি টার্কি ফার্ম।