‘দুশমন সিনেমাটিকে 'না' বলেছিলাম। কারণ আমি ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করতে চাইনি। আমার মনে হয়েছিল এটা আমার পক্ষে কঠিন।’ এভাবেই কর্মজীবনের শুরুর দিকের গল্প খোলাসা করে বলেছেন বলিপাড়ার জনপ্রিয় অভীনেত্রী কাজল দেবগন।
সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কাজল নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তুলে ধরেছেন কিছু মূহুর্ত।
তানুজা চন্দ্র পরিচালিত ‘দুশমন’ সিনেমাটি নিয়ে কাজল বলেন, ‘সিনেমাটিতে ধর্ষণের দৃশ্য থাকায় আমি প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। ক্যামেরার সামনে আমার সঙ্গে কেউ এ ধরনের আচরণ করবে, সেটা একেবারেই মেনে নিতে পারছিলাম না। তবে পরিচালক এবং প্রযোজক পূজা ভাট তখন জানিয়েছিলেন, বডি ডাবল ব্যবহার করে এই দৃশ্যের শ্যুটিং হবে। তখনই আমি রাজি হই।’
কাজল বলেন, তারা জানান যে কেবল একটি ক্লোজ শট দরকার এবং বাকিটা তারা ম্যানেজ করে নেবেন। তারা কথা রেখেছিলেন। এত ভালোভাবে শটটি নিয়েছিলেন যে, সিনেমাটি দেখলে এখন বোঝাও যায় না।
সিনেমার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কাজল বলেন, ‘ছবিটিতে যেহেতু দুই বোনের চরিত্রে একই মানুষ অভিনয় করছে সুতরাং এক চরিত্রের সঙ্গে অন্যের তুলনা চলেই আসে। এখানে নিজের সঙ্গেই নিজের তুলনা। এই সিনেমা আমাকে অনেক শিখিয়েছে।’
৪৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। বলিউডে তার প্রথম সিনেমা 'বেখুদি' এবং ১৯৯৪ সালের 'উধার কি জিন্দেগি'সহ তার প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় কাজল রেখেছেন 'দুশমন'কে।
সমালোচকদের বহুল প্রশংসা কড়িয়েছে ছবিটি। তাতে কাজল দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। দুই যমজ বোনের ভূমিকায়। এক বোনকে ধর্ষণ করে খুন করেন আশুতোষ রাণা। প্রতিশোধ মূলক এই সিনেমায় কাজলের সঙ্গে দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে।