প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো পণ্য দ্রব্যের দাম বাড়ে আর কমে। সব পণ্যদ্রব্যের দাম কমবেশি উঠানামা করলেও স্থিতিশীল ছিল আটার দাম। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বাড়ায় বাড়তে শুরু করেছে আটার দাম।
আজ রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার, কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘদিন গমের দাম কম থাকায় কম দামেই বিক্রি হয়েছে আটা। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে আটার দাম।
খোলা আটা এক সপ্তাহ আগে প্রতি ৫০কেজি বস্তা আটা বিক্রি হয়েছে ১১২০-১১৩০ টাকায়। আর সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজি বস্তায় ১০০-১৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২২০-১২৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হয়েছে ২২-২৩ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হয়েছে ২৫-২৬ টাকায়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের কাদের ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী কাদের বিডিমর্নিংকে বলেন, গমের দাম বাড়ায় মিল থেকেই আমাদের প্রতি বস্তায় ১২০-১৫০ টাকা বেশি দিয়ে আটা কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের ভাইবোন ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী মহসিন বিডিমর্নিংকে বলেন, দীর্ঘদিন আটার দাম কম ছিল। তখন আমরা কম দামে আটা বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন আমাদের কেনা বেশি। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খোলা আটার দাম বাড়লেও প্যাকেটজাত আটার ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে অনেক খুচরা দোকানি খোলা আটার দাম বাড়ার সুবাদে অগ্রিম বাড়িয়ে দিয়েছেন প্যাকেটজাত আটার দাম। সপ্তাহখানেক আগে প্রতি ১ কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে তা কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকা।
এ ব্যাপারে রিপন ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী রিপন বিডিমর্নিংকে বলেন, প্যাকেটের আটা যাদের আগে কেনা তারা কম দামে বিক্রি করতে পারছে। কিন্তু যাদের নতুন কেনা তাদের কেনাই পড়ছে বেশি। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।