প্রায় শতবর্ষ আগে ডুবে যাওয়া ব্রিটিশ জাহাজ টাইটানিকের বেশ কিছু নিদর্শন নিলামে উঠছে। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল জাহাজটি প্রথম সমুদ্রযাত্রায় সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথে হিমশৈলের (আইসবার্গের) সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এটি ওই সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ আধুনিক ও বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল। ডুবে যাওয়া বিলাসবহুল জাহাজটি থেকে পরবর্তীতে বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে রাখা হয়।
আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ওই নিলামে টাইটানিকের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সামগ্রী বিক্রির জন্য তোলা হবে। যে প্রতিষ্ঠানটি এসব সামগ্রী রেখেছিল তারা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় সামগ্রীগুলো নিলামে তুলতে হচ্ছে।
টাইটানিকের নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে এর ডেকোরেশনের বিভিন্ন খণ্ড, ডাইনিংরুমে ব্যবহৃত চীনা তৈজসপত্র ও হালের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার এক্সিবিশনস সংস্থাটি শুধু এ নিদর্শনগুলোর মালিকানাই বজায় রাখেনি, তারা ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজটিতে অনুসন্ধানের জন্যও অনুমতিপ্রাপ্ত। ফলে যারা নিলামে এ নিদর্শনগুলো কিনবে তারা নিমজ্জিত টাইটানিক জাহাজটিতে আরো অনুসন্ধান চালানোর অনুমতিও পাবে।
নিলামে এসব সামগ্রীর সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে ১৯.৫ মিলিয়ন ডলার। তবে এগুলোর সবগুলো খণ্ডই একত্রে বিক্রি করা হবে। কেউ চাইলেই একটি জিনিস কিনতে পারবেন না।
গত বছর টাইটানিকে বসে লেখা একটি চিঠি রেকর্ড দামে নিলামে বিক্রি হয়েছে। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল জাহাজটি ডুবে যাবার আগে লেখা ওই চিঠিটি ২ লাখ ১২ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। জাহাজটি ডুবে যাবার আগের দিন ১৩ই এপ্রিল সেটি লেখা হয়েছিল।