বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার প্রেগন্যান্সির খবর নিয়ে একসময় বলিপাড়ায় শুরু হয় নানা জল্পনা কল্পনা। তবে এ ঘটনাকে কেবলই গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন নেহা ও তার স্বামী অঙ্গদ বেদী। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অঙ্গদ। তবে এর কিছুদিন পরে তারাই সন্তানসম্ভাবনার ছবি দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেহার প্রেগন্যান্সির খবর নিয়ে কেন এত লুকোচুরি, সে বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী নিজেই।
নেহা বলেন, আমি যে প্রেগন্যান্ট, এ কথা বলতে চাইনি। কারণ এই খবরটা জানলে আমার প্রতি সকলের ব্যবহার পাল্টে যেত। কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত।
নেহা জানান, সেসময় তিনি ‘হেলিকপ্টার ইলা’-র শ্যুটিং করছিলেন। পাশাপাশি চলছিল তার চ্যাট শো ‘নে ফিল্টার নেহা’-র শ্যুটিংও। যার কারণে প্রেগন্যান্সির খবরটি খোলাসা করতে চাচ্ছিলেন না।
নেহা আরও বলেন, আমি ভয় পেতাম কেউ যদি আমাকে কাজ না দেয়। কারণ গর্ভবতী হয়ে পড়লে অনেকেরই কাজ করার সামর্থ্য থাকে না। কিন্তু আমার এনার্জি লেভেল বেশ হাই ছিল। যে কারণে আমার মাতৃত্বকালীন ছুটিরও কোনো প্রয়োজন হয়নি।
প্রসঙ্গত, নেহা ধুপিয়া একজন ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং সাবেক 'মিস ইন্ডিয়া'। মূলত হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করলেও নেহা কিছু তেলেগু এবং মালায়ালাম ভাষার চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন এবং তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো মালায়ালাম ভাষারই। নেহা মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেছিলেন। শিশু নেহা মালায়ালাম চলচ্চিত্র 'মিন্নারাম'তে অভিনয় করেছিলেন যেটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। ২০০২ সালে নেহা 'মিস ইন্ডিয়া' সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়ী হলে তার বলিউডে ডাক পড়ে, 'কায়ামাতঃ সিটি আন্ডার থ্রেট' (২০০৩) চলচ্চিত্রে তিনি কাজ করার সুযোগ পান। নেহা অভিনীত ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র 'কিয়া কুল হে হাম' বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিলো এবং 'শুটআউট এ্যাট লোখান্ডওয়ালা' (২০০৭) জনপ্রিয়সহ ব্যবসাসফলও হয়েছিলো, একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র 'দাছ কাহানিয়া'তেও নেহা ভালো অভিনয় করেন।