বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন যমুনা নদীর পানি কমে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করায় চরাঞ্চলের ১১টি গ্রামের আংশিক প্লাবিত হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যান্তরে বৈশাখী, ভান্ডারবাড়ি, রঘুনাথপুর, ভুতবাড়ি, পুকুরিয়া, আটাচর, রাধারনগর, শিমুলবাড়ি, কৈয়াগাড়ি, শহড়াবাড়ি ও নিউসারিয়াকান্দি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। চরের প্রায় ৫০০ বিঘা জমির বিভিন্ন জাতের ফসল তলিয়ে গেছে। এতে বন্যা দূর্গত এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে বানভাসি মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ভাবে বন্যার পানি কমতে থাকলে যমুনা চরের হাজার হাজার পরিবার বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা হবে।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, গত পাঁচ দিনের বন্যায় যমুনা চরের প্রায় ৫০০ পরিবারের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করায় চরবাসির মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
চরের পানিবন্দী ৫০০ পরিবারের জন্য ৫ মেট্রিকটন চালের বরাদ্দপত্র পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে হতদরিদ্র ৫০০ পরিবারের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সকালের দিকে চুড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ৫০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আপাতত যমুনা নদীতে আর পানি বাড়ার কোন আশংকা নেই। তবে কয়েক দিনের বন্যায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তারপরও যমুনার চরাঞ্চলের ৫০০ পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।