দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেছেন, উভয়পক্ষ ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য অর্জনে সম্মত’ হয়েছে। কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। চুক্তি সই হওয়ার পর দুই কোরিয়ার নতুন ভবিষ্যতের প্রশংসা করেন উভয় নেতা।
এছাড়া উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন, পরিবারের পুনর্মিলন এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
চুক্তি সইয়ের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তংচ্যাং-রি মিসাইল ইঞ্জিন টেস্ট সাইট ও মিসাইল উৎক্ষেপণ স্থাপনা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এই তংচ্যাং-রি মিসাইল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে হোয়াসং-১৪ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর পরই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে চলতি বছরের ১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কোরিয়ান উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, কোরিয়া যুদ্ধের সমাপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এদিকে দুই কোরিয়া যৌথভাবে আগামী ২০৩২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজন ব্যাপারেও আলোচনা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং উত্তর কোরিয়ার সেনাপ্রধানও চুক্তি সই করেছেন। চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নজিরবিহীন সিরিজ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের তিনদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে উভয়পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি সই হলো। গেলো এক দশকের মধ্যে এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও নেতা উত্তর কোরিয়া সফরে এলেন। গেলো এপ্রিলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের প্রথম ঐতিহাসিক বৈঠকের পর চলতি বছর এটি উভয় নেতার তৃতীয় সাক্ষাৎ।