ফিলিপাইনে আঘাত হানা মাংখুত এবার আঘাত হেনেছে দক্ষিণ চিন এবং হংকং উপকূলবর্তী এলাকায়। এর আঘাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চীনে দু’জন নিহত হয়েছে। এর আগে ফিলিপাইনে আঘাত আনা মাংকুতের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।
রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চীনের গুয়াংদোঙের জিয়াংমেন শহরে প্রথম আছড়ে পড়ে টাইফুন মাংকুত। ঝড়ের গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় ১৬২ কিমি। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণ। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। ইতিমধ্যে ২০ লাখ ৪৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপকূলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৪৮ হাজার মাছ ধরার নৌকো। প্রায় ২৯ হাজার নির্মাণ কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ৬৩২টি পর্যটন কেন্দ্র।
টাইফুন মাংকুতের ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে হাইনান প্রদেশের দু’টি বিমান বন্দর। উপকূলবর্তী সমস্ত স্কুল ও গেস্ট হাউসও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত শেনঝ্যাং বিমানবন্দর হয়ে যে বিমানগুলি যাওয়ার কথা ছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।
এরআগে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে দূরপাল্লার ট্রেনও তুলে নেওয়া হয়েছে। গুয়াংদোঙের উপকূলবর্তী শহরগুলোর সমস্ত জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঝড়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ চিনের গুয়াংদোঙ, হাইনান এবং গুয়াংশি জুয়াং প্রদেশ।
আজ সোমবার পর্যন্ত হাইনান ও গুয়াংদোঙের সমস্ত পর্যটন স্থলগুলো বন্ধ রাখারর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকে কিয়ংঝৌ প্রণালীর নৌ সেবা বন্ধ রয়েছে। গুয়াংদোঙ ও হাইনান প্রদেশকে সংযুক্তকারী কিয়ংঝৌ প্রণালীর নৌ সেবা বন্ধ।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘরছাড়া মানুষের জন্য ৩,৭৭৭টি জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র গড়েছে গুয়াংদোঙ প্রশাসন। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষে সেখানে মাথা গুঁজতে পারেন। যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা যায়।
উপকূলবর্তী শহরগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১০০০ লাইফবোট। যাতে জরুরি অবস্থায় কাজে লাগে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে সে দেশের আবহাওয়া দফতর।
বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম যাতে না বাড়ে, সে দিকে নজর রেখেছে প্রসাশন। তবে আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে মজুত করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।