মা তাকে বলেছিল, তুই বিক্ষোভে যাস না। তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মায়ের হাত গলে গাজা উপত্যকার সীমান্তে বিক্ষোভে অংশ নেয় ১২ বছরের শিশু সাদি আবদেল আল।
সেখানে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় সে। শনিবার শিশুটির জানাজায় হাজার হাজার লোককে অংশ নেয়। উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলে জাবালিয়ায় বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে শুক্রবার ইসরাইলি গুলিতে নিহত হয় সাদি।
সাদি হচ্ছে সীমান্ত বরাবর ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকার দাবিতে বিক্ষোভে নিহত সবচেয়ে কম বয়সী শিশু।
দাফনে অংশ নেয়া ফিলিস্তিনিরা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। শিশুটির মা উম্মে সাদি বলেন, যারা আমার শিশুসন্তান হত্যা করে আমার কলিজায় আঘাত দিয়েছে, আল্লাহ যেন তাদেরও এমন আঘাত দেন।
আমার সন্তানের কী অপরাধ ছিল- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মাত্র ১২ বছর বয়স ছিল তার। তার সন্তান বিক্ষোভে গেলেও তিনি তাকে থামাতে চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, তাকে আমি বাধা দিয়েছিলাম, কিন্তু সে পালিয়ে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবির তার সমবয়সী মোহাম্মদ বলে, আমরা সীমান্ত বেড়ার দিতে পাথর ছুড়ছিলাম। এ সময় ইসরাইলি বাহিনীর কাঁদানে গ্যাস গ্রেনেডে তার শরীরে আঘাত করলে সে তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১৭৯ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজার হাজার।