বগুড়ায় বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকান থেকে ২০ জোড়া শিক্ষার্থী আটকের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। একেকজন একেকভাবে তাদের মনোভাব প্রকাশ করছেন।
ফেসবুকে সেলিম রেজা নিউটনের ‘বগুড়ায় বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকান থেকে ২০ জোড়া শিক্ষার্থী আটক’ শিরোনামে একটি সংবাদ শেয়ার করেছেন। সেখানে রুমা মোদক নামের একজন লিখেছেন, ‘সংবিধানে কোন ধারা বলে তিনি একাজ করলেন? কোথায় লেখা আছে ছেলেমেয়ে একত্রে ফাস্টফুড খেতে পারবে না? অবদমিত পারভার্টেড ছাড়া একাজ কোনো সুস্থ মাথার মানুষ করতে পারে না। এদের হাতে আমাদের দেশের প্রশাসন ! হায় সেলুকাস’
একই সংবাদে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আর রাজি। তিনি লিখেছেন, ‘বিকারগ্রস্ত উন্মাদ না হলে স্কুল-কলেজের ড্রেস পরিহিত কিশোরদের সাথে এমন আচরণ করার কথা মাথায় আসা কঠিন। আইনের শত প্যাচগোচ আছে জানি, যা দেখিয়ে এসব অন্যায়কেও আইনানুগ করা যেতে পারে। কিন্তু কাণ্ডজ্ঞান বলে, কিশোর-কিশোরিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এভাবে একজায়গা থেকে ধরে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া অপহরণের শামিল। এটাও দেখা দরকার, কোন আইন বলে এটা করা হয়েছে। যদি এমন কোনো আইন থেকে থাকে, তাহলে তা বাতিলের জন্য দাবি করতে হবে।’
মনজুরুল আহসান ওলী লিখেছেন, ‘খুবই খারাপ খবর। অত্যন্ত বিরক্তিকর। একদম গণতন্ত্রবিরোধী কাজ-কারবার এগুলি। স্কুল-কলেজের মত ফালতু জায়গায় সময় নষ্ট করার থেকে পার্কে ব’সে প্রেম করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সিরিয়াসলি বলতেছি। কে কার সাথে কোথায় ব’সে থাকবে সেইটা নান অব প্রশাসন্স হেডেক। অত্যন্ত বিরক্তিকর। এইসব জীবনবোধশূন্য তথাকথিত জেলা-প্রশাসকদের যুগ শেষ হোক।’
আহমেদ স্বপন মাহমুদ লিখেছেন, ‘বগুড়ায় মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীদের ধরে হেনস্থা করা হয়। ডিসিসহ পুলিশ গিয়ে হানা দেয় পার্কে, কিছুদিন আগে। হেনস্থা করে শিক্ষার্থীদের। এর নিন্দা জানাই। গার্ডিয়ানসহ বগুড়ার সচেতন নাগরিকদের প্রতিবাদ করা উচিৎ।’