কূটনৈতিক প্রতিবেদক-
অর্থনীতি এবং জনসংখ্যার দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ও তুরস্কের পক্ষে ঘনিষ্ঠতর অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এটি করতে পারলে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে।
গত ১২ই সেপ্টেম্বর আংকারায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সহ-সভাপতি জেভদেত ইলমাজের সাথে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী দ্বিপাক্ষিককালে তারা বিষয়ে একমত হোন।
ইলমাজ ইতোপূর্বে তুরস্কের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান পদাধিকারবলে দলের সভাপতি।
একে পার্টির সদর দপ্তরে ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সভাপতি জেভদেত ইলমাজ বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন অর্জনসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ একটি বৃহৎ অর্থনীতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত সিদ্দীকী বাংলাদেশের পরিকল্পিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে একটি তুর্কী-বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলার প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন। এ বিষয়টি আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিশেষ প্রাধান্য পাবে বলে সহ-সভাপতি জেভদেত ইলমাজ আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন, তুরস্কে আশ্রিত সিরীয় শরণার্থী এবং সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠককালে বিস্তারিত আলোচনা হয়।