গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার টাকা ঘোষণার একদিন পর নতুন এই বেতন কাঠামোকে প্রত্যাখান করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। এসময় তারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা কারার দাবি জানিয়ে বলেন ‘আমরা ভিক্ষা চাই না, আমাদের অধিকার চাই।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে এ দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
প্রায় দুই বছর ধরে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা কারার দাবি জানিয়ে আসছে গামের্ন্টস শ্রমিকারা। গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এক সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার টাকার ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেসিক ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ২ হাজার ৫০ টাকা এবং অন্যান্য ১ হাজার ৮৫০। আগামী ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে নতুন বেতন কার্যকর হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
নতুন মজুরি ঘোষণার প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, আমরা ২ বছর আগে সর্বনিম্ন বেতন ১৬ হাজার টাকার দাবি করেছিলাম। এই দুই বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। তারপরও শ্রমিকদের বেতন ঘোষণা করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। নতুন এই মজুরি কাঠামো ঘোষণার মধ্য দিয়ে মালিক ও সরকার শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। দাম বাড়ছে না শুধু শ্রমিকদের। আমরা ভিক্ষা চাই না, আমরা আমাদের অধিকার চাই।
তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের শ্রমে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রয়েছে কিন্তু শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। গতকাল যে বেতন ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেখানে শ্রমিকদের কোন পরার্মশ নেওয়া হয় নাই। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলবেন আর আমাদের সাথে প্রতারণা করবেন, এটা চলবে না। আমাদের শ্রমের টাকা নামে বে-নামে বিদেশে পাচার করছেন আর আমাদের বঞ্চিত করছেন। মূলত মালিকদের খুশি রাখার জন্য এই বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার।
অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার টাকা প্রত্যাহার করে জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনা করে ১৬ হাজার টাকা করার দাবি করেন শ্রমিক সংগঠনগুলো।
প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেট ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্ট, শ্রমিক অধিকার আন্দোলন।