সাতক্ষিরায় পাটকেলঘাটায় মেয়ের বেপোরোয়া চলাফেরা ও ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় প্রাণ দিতে হলো মা মমতাজ বেগমকে (৪৮)।
গত বুধবার রাতে পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা এলাকার এ ঘটনায় এস আই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে নিহতের মেয়ে টুম্পা খাতুন (২৪) কে একমাত্র আসামী করে পাটকেলঘাটা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
এদিকে, ঘটনার রাতে নিহত মমতাজ খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর এলাকা ছেড়ে কৌশলে পালিয়ে যায় টুম্পা খাতুন। এর পর থেকে টুম্পাকে এলাকায় আর দেখা যায়নি। মায়ের লাশ দাফনের সময়ও টুম্পা নিহত মায়ের পাশে ছিলোনা। পুলিশ এখন পর্যন্ত টুম্পা থাতুনকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, গত (১০ সেপ্টেম্বর) সোমবার মেয়ে টুম্পা খাতুনের (২৪) রডের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মা মমতাজ বেগম (৪৮)। মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কয়েকবার বমি করেন তিনি। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মমতাজ বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নেয়ার পথে রাতে মারা যায় মমতাজ বেগম।
মমতাজ বেগমের স্বামী আব্দুস সবুর সরদার মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। একমাত্র ছেলে শরীফও মাদকাসক্ত। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর মেয়ে টুম্পা খাতুন ইয়াবাসেবী।
স্থানীয়রা জানান, মেয়ে টুম্পা খাতুন ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকসেবন করতেন। বেপোরোয়া চলাফেরার কারণে তিন বছর আগে তার স্বামী তাকে তালাক দেয়। মা এগুলোর বিরোধিতা করায় মাকে প্রায়ই মারধর করতেন টুম্পা। মাকে হত্যার পর স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে প্রচার করতে থাকে টুম্পা। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেওয়ার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধারকালে টুম্পা পালিয়ে যায়। সেই থেকে পলাতক রয়েছে মেয়ে টুম্পা।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) রেজাউল ইসলাম বলেন, মমতাজ বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় বুধবার রাতে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। পাটকেলঘাটা থানার এস আই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে নিহতের মেয়ে টুম্পা খাতুন (২৪) কে একমাত্র আসামী করে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছে।
তিনি আরও বলেন, লাশের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। আসামি টুম্পাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।