Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২০১৯ সালের জুনে উম্মুক্ত হচ্ছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর দ্বার

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫১ AM
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫১ AM

bdmorning Image Preview


কুয়াকাটায় আগত পর্যটক-দর্শনার্থীদের জন্য আরেকটি নতুন পথের দ্বার উম্মোচিত করতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদীর উপর নির্মিতি হচ্ছে দ্বিতীয় সেতু। কলাপাড়া-কুয়াকাটার বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর দ্বার উম্মোচন হওয়ার কার্যাদেশ ছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে।

কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ায় কারণে বিলম্বিত হয়েছে নির্মাণ কাজ। তবে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জুনেই এ সেতু পেড়িয়ে বিকল্প পথে কুয়াকাটা যেতে পারবেন পর্যটক। 

নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ৬৭৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯ কোটি ৮৩ লাখ ৮৫হাজার  ৯’শ ২৩টাকা ৪৯পয়সা। ১৩টি স্প্যানের ওপর এ সেতুটি নির্মিত হবে। রয়েছে দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

২০১৬ সালে ৪ সেপ্টেম্বর ম্যাক্স-র‌্যাংকি জেভি নামের দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে সেতুটির পাইলিং, ১১টি পিয়ার, দুটি এ্যাপাটম্যান্টসহ ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে সড়ক পথে পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজতর হবে। উপজেলা সদরের সাথে বালিয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের কয়েক লক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজতর ও উন্নত হবে। থাকবে খেয়ায় নদী পারাপারের ভোগান্তি। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা যেতে পারবেন এ বিকল্প পথেই।  

প্রভাষক ইউসুফ আলী জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে আন্ধারমানিক নদীর বালিয়াতলী পয়েন্টের খেয়া পারাপারে লাখো মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে। কৃষকদের পণ্য পরিবহনসহ শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথ সুগম হবে।

ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, মালামাল নিয়ে খেয়াঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেতুটি চালু হলে এ ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না।

বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান হুমাযুন কবির বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাচঁটি ইউনিয়নের মানুষ সহজেই উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। 

খুব দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জানিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প প্রকৌশলী মোখলেচুর রহমান জানান, চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রতিকূল আবহওয়া এবং আন্ধারামানিক নদীর জোয়ার-ভাটার সমস্যার কারনে নির্মাণ কাজ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। 

কন্সটাকশন ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ পাল জানান, ৬৫টা গার্ডারের মধ্যে ৭টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ শেষ করার সময়সীমা আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়েছে। আশা করি আগামী জুন মাসের মধ্যে সেতুটির কাজ সম্পন্ন হবে। 

Bootstrap Image Preview