পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের মিল কখনোই থাকবে না। আমাদের মালামাল আনার ভাড়া এবং দোকানের ভাড়া সবকিছু মিলে বাজারের সবজির দাম হিসেবে করা হয়। তাই পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারের সবজির দাম কিছুটা বেশি। পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের এত তফাৎ কেনো জানতে চাইলে বিডিমর্নিংকে একথা গুলো বলেন মিরপুর ৬নং বাজারের সবজি বিক্রেতা লাল মিয়া।
কয়েক সপ্তাহ বাজারে সবজি বেশ সস্তা ছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল বাজার, মিরপুর ৬নং বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা যায় বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি ওস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হছে ৪০ টাকায়।প্রতি হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।
অপরদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। খুচরা বাজারে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেপে। প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হছে ৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ওস্তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
গত সপ্তাহে ঝাল কমা মরিচের ফের বেড়েছে ঝাল। এ সপ্তাহে পাইকারি বাজারেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে একই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে হাতিরপুলের সবজি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বিডিমর্নিংকে বলেন, আমরা যেমন দামে কিনে আনি তেমন দামেই বিক্রি করি। গত সপ্তাহে মরিচ কম দামে কিনেছি তাই বিক্রি করতে পেরেছি কম দামে। কিন্তু এ সপ্তাহে আমাদের কিনতেই হয়েছে বেশি দামে। তাই আজ কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বেশি।
বাজারে প্রতি কেজি দেশি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়।বেশি দামে বিক্রি হওয়া আরেকটি সবজি হচ্ছে সিম। প্রতি কেজি শিম পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। আর অপরদিকে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়।
তিনি আরো বলেন, তাছাড়া আমরা পাঁচ কেজি মাল আনলে দেখা যায় ১ কেজিই পচা। এই ১ কেজির দাম কোথা থেকে আসবে? তখন আমাদের বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়।
এদিকে ঈদের পর থেকে চাহিদা কম থাকায় বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। প্রতি পিস কর্ক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায় এবং প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৫০ টাকায়।
ইলিশের ভরা মৌসুমেও মোটামুটিভাবে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে প্রতিটি ৭০০-৮০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকায়।
কারওয়ানাবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বিডিমর্নিংকে বলেন, প্রতি বছর এ সময় পানির দামে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে এ বছর ইলিশের দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, ভালোভাবে মনিটরিং করলে আমরা সাশ্রয়ী দামে ইলিশ কিনতে পারি।