অধিকৃত পশ্চিমতীরের যাযাবরদের গ্রাম খান আল আহমারে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের নির্মিত বেশ কয়েকটি ছাউনি ভেঙে ফেলেছে ইসরাইল। দেশটি ওই গ্রামটি ধ্বংস করে সেখানে ইহুদি বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনাও কুড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বৃহস্পতিবার সূর্য ওঠার আগেই ইসরাইলি বাহিনী গ্রামটিতে আসে এবং নতুন করে নির্মিত ছাউনিগুলো ভেঙে ফেলতে শুরু করে।
বেদুইন গ্রামটিতে এসব ছাউনি নির্মাণ করে প্রতিবাদকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। দুই শতাধিক অধিবাসীর গ্রাম খান আল আহমার এখন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইলের সংযোগ রক্ষাকারী সংস্থা সিওজিএটি টুইটারে জানিয়েছে, অবৈধভাবে পাঁচটি অস্থাবর অবকাঠামো নিয়ে এসে এখানে তা স্থাপন করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী তা ধ্বংস করে দিয়েছে।
খান আল আহমার ধ্বংস করতে ইসরাইলের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠীর কর্মীরা ওই পাঁচটি চালঘর সেখানে স্থাপন করেছিলেন।
জেরুজালেম থেকে পশ্চিমতীর হয়ে মৃতসাগরের দিকে যাওয়া ইসরাইলের একটি মহাসড়কের পাশে খান আল আহমার গ্রামটির অবস্থান। অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল গ্রামটি ধ্বংস করে সেখান অধিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। গ্রামটির অধিবাসীরা ছাগল ও ভেড়া পুষে জীবিকা উপার্জন করেন।
বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, গ্রামটি ধ্বংস করে দিলে তা সেখানকার অধিবাসীদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে ও শান্তির সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যাবে।