কক্সবাজারে বাস ও লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চকরিয়া উপজেলার বড়ইতলীর নতুন রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী।
নিহতরা হলেন লেগুনার চালক লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর এলাকার আহমদ হোছাইনের ছেলে খাইর আহমদ (৩৫), হারবাং মুসলিমপাড়ার ছৈয়দ আলমের ছেলে আবুল কাশেম (২৩), হারবাং লালব্রিজ এলাকার মনজুর আলমের ছেলে জহির আলম (৩২), লোহাগাড়া আধুনগরের মোস্তাক আহমদের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৬০) ও তার মেয়ে আবুল হাসেমের স্ত্রী জায়তুন নাহার (৩০), লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির যতীন্দ্র সিকদারের স্ত্রী বাসন্তী সিকদার (৬০), বরইতলী ইউনিয়নের ওপর পাড়ার মনজুর আলমের ছেলে শফিকুল কাদের তুষার (১৮)।
বানিয়াছড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি নুর আলম জানান, সকালে যাত্রী নিয়ে লেগুনাটি (ছারপোকা) চকরিয়া থেকে লোহাগাড়া যাচ্ছিল। পথে বড়ইতলীর নতুন রাস্তারমাথা নামক এলাকায় কক্সবাজারমুখী স্টারলাইন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ওই লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই লেগুনাচালকসহ তিন যাত্রী নিহত এবং আহত হন কমপক্ষে ১২ জন। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন, চট্টগ্রামে নেয়ার পথে একজন এবং চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের আইসি নুরে আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্টার লাইন পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের মৃতদেহ চকরিয়া সরকারি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।