সময় হয়ে গেছে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট বা ফাইভ জি সুবিধা ভোগের। এখন মোবাইল গেমাররা পাবেন আরো বেশি সুবিধা। ভিডিও কল হবে আরো পরিষ্কার। খুব সহজেই এবং কোনরকম বাধা ছাড়াই দেখা যাবে মোবাইলে ভিডিও। তাছাড়া শরীরে লাগানো ফিটনেস ডিভাইসসমূহের নিখুঁত সময়ে সঙ্কেত দেয়াসহ জরুরি চিকিৎসা বার্তাও পাঠানো সম্ভব হবে এই পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে।
আর এ ফাইভ জি ইন্টারনেট সুবিধা সবার আগে গ্রাহকদের ভোগ করার সুযোগ করে দিতে ফাইভ জি ইন্টারনেট কানেকটিভি সমৃদ্ধ ফোন বাজারে আনছে এইচটিসি। ফোনটির মডেল দেয়া হয়েছে ‘এইচটিসি ফাইভ জি ফ্লাগশিপ’। ৮ জিবি র্যামের এই ফোনে কোয়ালমের শক্তিশালী প্রসেসর ব্যবহৃত হয়েছে।
জানা গেছে, ফোনটিতে কোয়ালমের ৮৫৫ চিপসেট এবং ফাইভ জি মডেম সমৃদ্ধ ৭ এনএম-এর ফিনফিট চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। যা টিএসএমসি’র তৈরি। ফাইভ জি কানেকটিভিটিতে ফোনটিতে পাওয়া যাবে ২ জিবিপিএস থেকে ৪ জিবিপিএস ডাটা ট্রান্সফার স্পিড।
এইচটিসির নতুন ফ্লাগশিপ ফোনটিতে রয়েছে ৬.৩ ইঞ্চির সুপার এলসিডি সেভেন টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে। এতে কিউএইচডি প্লাসরেজুলেশন পাওয়া যাবে। ডিসপ্লের সুরক্ষার জন্য আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস সিক্স প্রটেকশন। ৬ জিবি ও ৮ জিবি র্যাম ভার্সনে ফোনটি পাওয়া যাবে। ৬ জিবি র্যামের সঙ্গে থাকবে ১২৮ জিবি রম। ৮ জিবির র্যামের ফোন মিলবে ২৫৬ জিবি রমে।
এছাড়া, ফোনটিতে দুইটি রিয়ার এবং দুইটি ফ্রন্ট ক্যামেরা থাকবে। ব্যাকআপের জন্য এতে ৩৯২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি থাকছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ৪০০ থেকে ৪৫০ ডলারে ফোনটি পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে চালু হয় মোবাইলের ফোর-জি ইন্টারনেট সুবিধা। যার প্রভাব বা সুফল গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পড়তেই উন্নত বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়ে যায় পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট বা ফাইভ জি নিয়ে। জানা যায়, অনেক দেশে সামনের বছর নাগাদ এ সেবাটি চালু হতে পারে। ফলে বর্তমানের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।