গাজীপুরের কেওয়া আকন্দবাড়ী থেকে টেপিরবাড়ী পর্যন্ত সড়কটি স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও চলাচল অনুপযোগী করা হয়নি। বছরের চার মাস জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের পাশের জমি ও বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করতে হয়। তাই স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার করছেন।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ইট ও বালি সরবরাহ করেছেন। তিনি নিজেও বালি বহন করে সড়কে ফেলছেন। সড়কের জলাবদ্ধ প্রায় ৫’শ গজ এলাকা গত দু’দিন যাবত সংষ্কার করা হচ্ছে।
টেপিরবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ৫শ' গজ সড়কের দু পাশে ভাল রাস্তা। কিন্তু মধ্যবর্তী অংশে জলাবদ্ধতা। আশপাশ থেকে অনেকে এ সড়কে ঢুকে গিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে। বর্ষাকালে চার মাস স্থায়ী সড়কের বিভিন্ন অংশে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
একই গ্রামের কৃষক মা. মহর আলী জানান, মহান স্বাধীনতার পর এ সড়কে মাটি দেয়া ছাড়া পাকা কাজের কোনো সংষ্কার হয়নি। কোনো জনপ্রতিনিধি কখনও সড়কের এ অংশে পাকা করণের কাজে কোনো বরাদ্দ দেননি। এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে বছরের প্রায় চার মাস দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় আনসার টেপিরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার বলেন, স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে ভাল কাপড় পরে বের হই, শ্রেণীকক্ষে ঢুকি কাদামাখা জামা পরে। সড়কের কাদামাখা পানি গড়িয়ে পাশের জমিতেও পড়ে।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জর্জ বলেন, সড়ক সংস্কার করা জনপ্রতিনিধিদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। এলাকার মানুষ হিসেবে আমরা অসহায়। অবশেষে এলাকার লোকদের ডেকে তাদের সাথে সমন্বয় করে সড়কটি পায়ে হেঁটে চলাচলের উপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেই। ৮ ট্রাক ইট ও চার ট্রাক বাালি এনে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সড়কে ফেলছি। গত দু’দিনে সড়কে পায়ে হেঁটে চলার কিছুটা উপযোগী হয়েছে।
শ্রীপুরের তেলিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের কল্যানে জানতে পেরেছি ওই সড়কের সংস্কারে স্থানীয় একজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার চলছে। ওই সড়ক সংস্কারের জন্য ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে আবেদন আসেনি। তাছাড়া বর্তমানে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি বা অন্য কোনো প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নেই। পরবর্তী সময়ে বরাদ্দ আসা সাপেক্ষে সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে।