এবারও জামিন পাননি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মামলায় গ্রেফতার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন ও এহসানুল হক সমাজি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের আইনজীবীরা জামিনের জন্য হাইকোর্টেও গিয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে জজ আদালতেই বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানি হলেও জামিন মেলেনি শহিদুলের।
উল্লেখ্য, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় গুজব ও অপপ্রচারের অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এই মামলায় গত ৬ আগস্ট সিএমএম আদালতে তার প্রথম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁর সাত দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১২ আগস্ট রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৬ আগস্ট জামিন নামঞ্জুর করে শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাসা থেকে শহিদুলকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পরিচয়ে একদল লোক। এর পর তাঁকে রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।