কূটনৈতিক প্রতিবেদক-
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ফ্রেন্ডশিপ ফেস্টিভ্যাল ২০১৮ তে ৭০টি দেশের বাংলাদেশেও অংশ নিয়েছে। ১ ও ২ সেপ্টেম্বর মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে সিউল মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট নিয়মিতভাবে মেলাটির আয়োজন করছে।
সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মেলায় দুইটি স্টল নেয়—একটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প ও অন্যটিতে খাবার প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সিউল সিটি মেয়র পার্ক ওন সুন মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সম্মানিত অতিথিগণ বাংলাদেশী স্টলসহ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
মেলায় হস্তশিল্প স্টলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পাট ও চামড়াজাত সামগ্রী, চুড়ি, পুঁতিরমালা, পিতলজাত পণ্য, মাটির তৈজসপত্র ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়াও স্টলে মেহেদীতে হাত রাঙ্গানোর ব্যবস্থা করা হয় যা দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
খাবার স্টলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঁয়াজু, সমুচা ও পাকোড়া উপস্থাপন করা হয়। কোরিয়ান এবং বিদেশিদের এ সকল খাবার আকৃষ্ট করে।
এই মেলায় আরেকটি বিশেষ আয়োজন ছিল মিউজিক ক্যাফে। বাংলাদেশ দূতাবাসের পরিবারের সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করে যা উপস্থিত দর্শকদের কাছে বেশ সমাদৃত হয়। বাংলাদেশ সহ মোট ৮ টি দেশ বা শহরের সাংকৃতিক দল মিউজিক ক্যাফেতে অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে কোরিয়ান এবং বিদেশী নাগরিকদের মাঝে জোরালোভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই ধরণের মেলায় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এ ধরণের আয়োজন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।