Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ শনিবার, অক্টোবার ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গোদাগাড়ীতে বন্যায় ৫০ টি বাড়ি-ঘর বিলীন

আব্দুল বাতেন, গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৯ AM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৯ AM

bdmorning Image Preview


রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াতে উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চর বয়ারমারী আমিন পাড়া গ্রামের ৩৫ টি বাড়ি-ঘর বিলীন ও ১৫ টির অধিক বাড়ি-ঘর আংশিক ভাঙ্গনের ফলে বিলিন হতে বসেছে। 

এতে করে ওই গ্রামের বসবাসকারী লোকজন ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনরাত্রি যাপন করছে। গরু, ছাগল, হাস-মুরগীসহ অন্যান্য গবাদি পশু সরাতে পারলেও অন্যত্র খোলা আকাশের নিচে বসাবস করায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ রানা উজ্জ্বল বলেন, গত টানা ১৫ দিনে পদ্মার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে চর বয়ারমারী আমিনপাড়া গ্রামের ৩৫ টি বাড়ি-ঘর পুরোটাই পদ্মায় ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। ১৫ টির অধিক বাড়ি বিলিনের পথে রয়েছে। যে হারে পদ্মার পানি অব্যাহত রয়েছে তাতে করে যে কোন সময় ওই গ্রামটি বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে জানান।
 
শুধু বাড়ি-ঘর না এই গ্রামের একটি বড় জামে মসজিদ ও প্রায় ৫০ বিঘার আবাদি জমি পদ্মার বুকে চলে গেছে। ফলে গ্রামটির ৫০টির অধিক পরিবারের প্রায় ৩০০ জন লোক চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে ভেঙ্গে পরেছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। টিউবওয়েল গুলো পানিতে ডুবে ও পদ্মায় নিয়ে চলে যাওয়াতে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব রয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন জানান, হঠাৎ পদ্মার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির ফলে আমাদের সব কিছু বিলীন হয়ে গেছে। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিনপার করতে হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার সব লোকজনই দিন মজুর ও কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকার ফলে তাদের আয় রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে। আশেপাশের  গ্রামের লোকজনও বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছে। 
 
এলাকাবাসী ধারণা করছে, এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক ক্ষয় ক্ষতির  সম্মখিন হতে হবে। এই ক্ষতির আগে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলে কিছুটা রক্ষা হবে বলে জানান।
 
এছাড়াও গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সুলতাগঞ্জ এলাকার পদ্মা ও মাহানন্দা নদীর মিলনস্থল এলাকার লোকজন ভাঙ্গনের আতঙ্গে দিন পার করছে।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সানাউল্লাহ জানান, আমার ইউনিয়নের পদ্মার পানি বৃদ্ধি হয়ে বন্যার কথা গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আকতার কে আইন শৃঙ্খলা মিটিং এর মাধ্যমে জানিয়েছি। তিনি এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন এবং যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করব বলে জানান।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আকতার জানান, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বন্যার কথা অবগত হয়েছে। চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্থদের সঠিক তালিকা করতে বলেছি এবং তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।
Bootstrap Image Preview