সাধারণত পুলিশ বাহিনী বা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো অভিযানে যে আরেকটি বাহিনীর দেখা মেলে সেটি হল ডগ স্কোয়াড বা কুকুর বাহিনী। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মাইন বা বিস্ফোরক খুঁজতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কাজে কুকুরের পরিবর্তে আর কোনো প্রাণীকে এখনও ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
তবে এর ব্যতিক্রম দেখিয়েছে শ্রীলংকার সেনাবাহিনী। কুকুরের বদলি হিসেবে বিস্ফোরক উদ্ধারকাজে এবার বেজিকে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনা কর্মকর্তারা। খবর ডেইলি নিউজ।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষধর সাপ মারতে ও গর্তে লুকিয়ে রাখা কিছু বের করে আনতে বেজি বেশ সুপরিচিত। তবে বিস্ফোরক খুঁজতে বেজির ব্যবহার এই প্রথম।
এ ব্যাপারে শ্রীলংকার সেনাকর্তাদের দাবি, মাইন ও বিস্ফোরক খোঁজার কাজেও পারদর্শী বেজি। এদের ঘ্রাণশক্তি কুকুরের থেকে কোনো অংশে কম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেজি কুকুরকেও টেক্কা দিতে পারে। আর এটি প্রমাণিত।
সে লক্ষ্যে লংকান সামরিক বাহিনীতে আপাতত দুটি বেজিকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ চলছে। বিভিন্ন রকম বিস্ফোরকের গন্ধ শুকিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
একটি বেজিকে পুরোপুরি প্রশিক্ষিত করে তুলতে ছয় মাসের মতো সময় লাগে বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকার সেনাকর্তারা।
প্রশিক্ষণ শেষ হলে এসব বেজি মাটি থেকে এক মিটার উপরে লুকনো বিস্ফোরক খুঁজে বের করতে পারবে বলে জানান তারা।
রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কুকুরের চেয়ে বেজি কম কষ্টের ও সাশ্রয়ী বলে বিস্ফোরক খুঁজতে তারা বেজিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানায় সেনাকর্তাদের একাংশ।
ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণরত বেজিদের সেনাসদস্যদের মতো পরিচিতি নম্বর দেয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই বেজিদের কাজে নামিয়ে দেয়া হবে।