বিডিমর্নিং ডেস্ক-
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীবের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক।
আজ রবিবার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছে বিআরটিএ।
হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। পরে আদালত এ বিষয়ে আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই বিআরটিএ-কে আজকে (রবিবার) প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের জন্য জাবালে নূর পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া কুর্মিটোলায় ওই দুর্ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের দায় নির্ধারণে তদন্ত প্রতিবেদন ২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নিজেই শুনানি করেছিলেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা ইয়াসমিন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর পর তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে ওই কলেজশিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বিশেষ বাস দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। আর জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।