বিডিমর্নিং ডেস্ক-
রাজধানীতে কয়েকদিন আগেই বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সেই দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে বেপরোয়া গতির কারণে রংপুরে বাসচাপায় জিয়ন নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর দর্শনা এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শুঁটকির মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়ন বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মণ্ডলেরহাট গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে এবং নগরীর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ওষুধ নিয়ে সাইকেল চালিয়ে ঘাগটপাড়া যাচ্ছিল জিয়ন ইসলাম। পথে দর্শনা মোড়ে রংপুরগামী বেপরোয়া একটি বাস পেছন থেকে জিয়নের সাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
তার বলছেন, বাসটি দ্রুতগতিতে তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। বাসটি থামালে হয়ত ছেলেটি বাঁচানো যেতো।গাড়িটা এত গতিতে এসেছে যে ছেলেটা বাসের নিচে প্যাঁচ খাচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় জিয়নের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে গেলে সেটি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা বলে জানান তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) সাইফুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন বেশ কয়েকজন।
এই ঘটনার জেরে সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর পর তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে ওই কলেজশিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বিশেষ বাস দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। আর জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।