প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূত।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রুনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিসরের রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অতি শীঘ্রই একটি শোক দিবস পালনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যাবিনেটের মাধ্যমে সেটি জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, সমস্যার মূল যে কারণগুলো রয়েছে, এগুলো বের করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একটা সমাধানের পথ বের করতে হবে। তার জন্য দরকার মুসলিম উম্মাহর ঐক্য।
সচিব বলেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের উপর প্রধানমন্ত্রী বার বার জোর দিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত হবে। আর ২৩৮ এবং ৩৪২ যে রেজুলেশনগুলো আছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
সচিব আরও জানান, আজকে ওআইসি একটা জরুরি সভা ডেকেছে। সেখানে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তারা একটা রেজ্যুলেশনে এই মুহূর্তে কাজ করছে। আজকে যারা রাষ্ট্রদূত ছিলাম তারা এবং প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এর মাধ্যমে শক্তিশালী বার্তা যাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে, যে এটা চলতে পারে না। যুদ্ধ বা সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। এই সমস্যার সমাধান যেন নতুন করে করা হয়।
সচিব বলেন, আমরা সবসময় তাদের (ফিলিস্তিনি) পাশে ছিলাম, আমরা তাদের পাশে থাকব। এবারও আমরা ওষুধ এবং জরুরি সামগ্রী পাঠাবো। আন্তর্জাতিকভাবে যতগুলো ফোরাম আছে আমরা সেখানে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।
রাষ্ট্রদূতদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই একসঙ্গে হয়েছেন এটাও একটা মেসেজ।
সচিব জানান, ফিলিস্তিনের সমস্যার কথা চিন্তা করে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) সবাই একত্র হয়েছেন, এক ভয়েজে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন।