শিক্ষকের সঙ্গে অসম প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় মেয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হলেন মা। এ ঘটনায় মেয়ে সিঁথি কর্মকারকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চন্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় সিঁথি কর্মকার ও শিক্ষক মহসিন আলী মণ্ডলকে অভিযুক্ত করে রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী শিবদাস কর্মকার।
নিহত ঝুমা কর্মকার (৪৫) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহাপাড়ার রথিন্দ্রনাথ কর্মকার ওরফে শিবদাস কর্মকারের স্ত্রী। সিঁথি কর্মকার (২৪) ঢাকার পিপলস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মহসিন বগুড়ার শেরপুরের নিশিন্ধারা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ার সময় বগুড়ার শেরপুরের সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মহসিনের সঙ্গে অসম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সিঁথির। শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেননি তারা বাবা-মা। বিষয়টি জানাজানি হলে ঢাকা থেকে সিঁথিকে বাড়িতে এনে আটকে রাখে তার পরিবার। এ নিয়ে প্রায়ই মায়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা থাকায় মায়ের সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছিলেন সিঁথি। পথে ‘জানালা দিয়ে বই পড়ে গেছে’ বলে বাস থেকে হঠাৎ নেমে যান তিনি। মা ঝুমা কর্মকারও বাস থেকে নেমে পড়েন। এ সময় মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে মায়ের বুকে আঘাত করেন মেয়ে। এরপর তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। এ দিকে আহত ঝুমা কর্মকারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সিঁথির বাবা শিবদাস কর্মকার বলেন, ‘আমি স্ত্রী হত্যার বিচার চাই। শুধু মেয়ের নয়, ওই শিক্ষকেরও শাস্তি চাই।’
সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম লিপু সমকালকে বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দায় নেবে না। শাস্তি আমরাও চাই।’
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।