প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার পৌঁছাবেন। এর জন্য সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে শহরে যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থল মেরিন ড্রাইভের ইনানী এবং শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জনসভা ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের জনসভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। জেলার বাইরে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও লোকজন সভাস্থলে আসতে শুরু করেছে।
কক্সবাজার শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে।
সভাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল মোড়, প্রধান সড়কের পালের দোকানের পশ্চিমে কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে মেরিন ড্রাইভের সাধারণ যান চলাচলও।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, সকাল ১০টার পর থেকে সভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন লোকজন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২টি অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন করে সাজানো হয়েছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সঙ্গে রয়েছে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি।
তিনি আরও বলেন, এই দুটি অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্যসহ ৪ হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার এসে সরাসরি আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ার উদ্বোধন করতে ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের মোহনায় যাবেন। ওখানে কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টার পর আসবেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী লাবণীর পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জনসভা মঞ্চে।