পুলিশে ফোন দিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছে আছিয়া আক্তার (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। রোববার উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দরগা গট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর পড়ালেখার দায়িত্ব নেন সালথা থানার ওসি। আছিয়া ওই গ্রামের আতিক মাতুব্বরের মেয়ে এবং জয়ঝাঁপ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। আগামীকাল সোমবার তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।
আছিয়া বলে, 'আমার লেখাপড়া করার খুব ইচ্ছা। আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। কিন্তু আমার পরিবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করে। বিষয়টি আমি ওসিকে ফোনে জানালে তিনি বিয়ে ঠেকান। তিনি আমার লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছেন। ওসি স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।'
আছিয়ার বাবা আতিক মাতুব্বরের দাবি, দু-তিন দিন আগে আছিয়াকে দেখতে আসে পাত্রপক্ষ। তাদের পছন্দ হওয়ার পর মেয়েকে নাকফুল পরিয়ে যায়। তবে বিয়ের দিন-তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। অভিযোগ পেয়ে সকালে ওসি থানায় ডেকে নিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বলেন। পরে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে চলে আসেন। তিনি বলেন, 'দুপুরে ওসি আমাদের বাড়িতে এসে মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবেন বলে জানান। এতে আমরা খুশি।'
সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, তাঁদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে ধারণা দিই এবং আছিয়া লেখাপড়া করে মানুষ হতে চায়, তাকে সে সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
ওসি বলেন, 'আমি যখন চলে যাব তখন যে কর্মকর্তা আসবে তাকেও বলে যাব এবং আমিও দূর থেকে ওর খোঁজখবর রাখব।'