প্রায় প্রতি ম্যাচ হারের পরই দলের প্রতিনিধিদের কণ্ঠে শোনা যায় এই কথা।বিভিন্ন জায়গা ধরে তারা জানান, উন্নতির চেষ্টা করেছেন। সাকিব আল হাসানও ব্যতিক্রম নন। টি-টোয়েন্টিতে নতুন করে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশ হেরেছেই বেশি। সাকিবও অধিনায়ক হিসেবে উন্নতির কথা বলেছেন। তবে এটা যে তার পছন্দ না, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পর জানালেন তেমন। ১০৪ রানে বড় ব্যবধানে প্রোটিয়াদের কাছে হারে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবের কাছে প্রশ্ন যায়, ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র টুর্নামেন্ট বিপিএল; এখানের উইকেটে রান হয় না বলে অভিযোগ। বাংলাদেশও কি এজন্য বড় রান করতে পারছে না?
সাকিব জবাবে বলেছেন, ‘হতেই পারে। আসলে কারণ বের করতে গেলে অনেক কারণই আসে। এমন না যে আগে আমরা বড় রান করিনি বা করার কোন সুযোগ নেই। বিশেষত অস্ট্রেলিয়াতে, আজকে সিডনির উইকেটটা খু্ব ভালো ছিল। আমরা আরও অনেক ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম। যেটা আগেই বলেছি, ব্যক্তিগতভাবে আমি হতাশ। এখানে ভালো ব্যাটিং ডিসপ্লে শো করার ছিল। এমন বলছি না ২০০ রান তাড়া করে ফেলতাম।
‘কিন্তু আমাদের অনেক ভালো একটা শুরু ছিল। প্রথম দুই ওভারে আমরা যেমন শুরু করেছি, সবাই দুই ওভার দেখার পর ভেবেছে কিছু একটা হতে পারে। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির দিক অনেক বেশি, এখানে উন্নতি করতে হবে। যদিও বারবার উন্নতির কথা বলতেও আমার এত বেশি ভালো লাগে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন। আমি আশা করি এই দল আরও ভালো পারফর্ম করতে ক্ষমতা রাখে। ’বাংলাদেশ কি দুইশর বেশি রান করার জন্য প্রস্তুত ছিল? এমন প্রশ্নে সাকিব বলেছেন, ‘আপনি একটা ভালো ব্যাপার বলেছেন, আমরা আসলে প্রস্তুত ছিলাম কি না? হয়তো না। আমি মনে করি আমাদের যে বোলিং আছে ১৭০-৮০তে আটকে রাখতে পারবো যেকোনো দলকে। এটা সম্পূর্ণ আলাদা খেলা হতে পারে। অবশ্যই আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিতে পারিনি। ৫০-৬০ রানের জুটি হলে বোলিং দলের ফিরে আসা কঠিন। ’