Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফসলের সঙ্গে শত্রুতা ১৫ হাজার বাঁধাকপির চারা কেটে দিয়েছে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১২ PM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


পঞ্চগড়ের শত্রুতা করে রাতের আঁধারে আবুল কাশেম নামে এক বর্গাচাষীর এক একর জমির ১৫ হাজার বাঁধাকপির গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী ওই চাষি। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের লাঠুয়াপড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত ক্ষেতটি। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা৷ মানুষের প্রতি শততরুতা করে ফসলের ক্ষেত কেটে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকসহ জনপ্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে বিচার চেয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বর্গাচাষী আবুল কাশেম।

 চাষি আবুল কাশেম জানান, কয়েক বছর ধরে বর্গা নিয়ে এক একর জমিতে বাঁধাকপির চাষ করে আসছেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে বাঁধাকপির গাছ বড় করেছেন। আবুল কাশেম বলেন, বুধবার সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখি কে বা কারা বাঁধাকপির গাছগুলো কেটে দিয়েছে। চারা, সার কীটনাশকসহ বাঁধাকপির চাষাবাদ করতে প্রায় লাখ দুয়েক টাকা ব্যয় হয়েছে। পুরো খেতের গাছ কেটে ফেলেছে। আমার স্বপ্ন নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। আশা ছিল, এ বছর ক্ষেত থেকে ৭/৮ লাখ টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করবো। কিন্তু আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে আমার দেনা পরিশোধ করবো এ নিয়ে এখন চিন্তিত আমি। যারা আমার সঙ্গে শত্রুতা করে ফসলের গাছ কেটে দিয়েছে তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চান ক্ষতিগ্রস্ত এই চাষী।

এদিকে জমির মালিক আজহারুল ইসলাম রুবেল বলেন, আবুল কাশেম আমার জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে। প্রতিবছরের মতো এবারও বাঁধাকপি চাষ করেছেন তিনি। রাতের অন্ধকারে দুবৃত্তরা তার ১৫ হাজার গাছ কেটে দিয়েছে। মানুষের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে, তাই বলে ফসলের খেত কেটে ফেলবে এটা মেনে নেয়া যায় না। এবিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। পুলিশকেও ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে প্রণোদনাসহ আপদকালীন সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেবো।

বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত খেত পরিদর্শন করেছি। পূর্ব শক্রতার জের ধরে এমনটি ঘটেছে। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। আমরা বিষয়টির তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

Bootstrap Image Preview