পিরোজপুরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মেয়েটির মা শনিবার রাতে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।পুলিশ এ মামলার আসামি ছাইফুলকে (২০) গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার সিংহখালী গ্রামের জাকির হাওলাদারের ছেলে। মেয়েটি ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মেয়েটি মায়ের অনুপস্থিতিতে উপজেলায় তার নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত। একই গ্রামের বখাটে ছাইফুল ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়া গত ৫ মে নানা নানির অনুপস্থিতিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে পুনরায় ধর্ষণ করে।এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়েটির মা তার বাবার বাড়িতে এসে শারীরিক পরিবর্তন দেখে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে মেয়েটির ছাইফুল এর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে। পরে পরীক্ষা করে জানতে পারে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. বজলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামি ছাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভিকটিম এর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।