নাটোরের এক কৃষকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রবিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর মোল্লা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই ব্যক্তির নাম জনাব আলী (৬০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী জাকির হোসেনের বাড়িতে জনাব আলী দীর্ঘদিন গৃহকর্মীর কাজ করতেন। রবিবার সকালে হঠাৎ প্রবাসীর স্ত্রী নাছিমা বেগম (৫০) চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় প্রতিবেশিরা তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন জনাব আলী এবং প্রবাসীর স্ত্রী মাটিতে পড়ে আছেন। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত কৃষক জনাব আলী বলেন, 'আমি প্রবাসীর স্ত্রী নাছিমা বেগমের কাছে কাজের মজুরির পাওনা দুই হাজার টাকা পেতাম। সেই পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে আমাকে তার বাড়িতে ডাকে। তখন তার বাড়িতে গেলে কৌশলে বটি দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।
প্রবাসীর স্ত্রী নাছিমা বেগম টাকার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, 'আমি আমার বাড়িতে কাজ করতে ছিলাম। জনাব হঠাৎ আমার বাড়িতে এসে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরে এবং বলে আমার কথা না শুনলে তোকে মেরে ফেলব। হাতাহাতির এক পর্যায়ে আমার ঘরের শোকেচের গ্লাসস ভেঙে সে আঘাত পায়। '
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।