Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দুই বান্ধবী একসাথে বড় হয়েছি, আমরা এক স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:২০ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০১:৫২ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগ্রহীত


ছোটবেলা থেকে বোনের মত বড় হয়েছি, আমরা এক স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই। এভাবে নিজেদের ইচ্ছের কথা জানাচ্ছিলেন সাথী এবং আছিয়া। বান্ধবীর ভেঙ্গে যাওয়া সংসার ঠিক করতে গিয়ে বান্ধবীর স্বামীকেই বিয়ে করে ফেলেন অপর বান্ধবী।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতীয়ান গ্রামে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পৃথক কাজি আফিসে গিয়ে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে বিয়ে করেছেন এ দুই বান্ধবী। তারা একজনের বিয়েতে আরেকজন সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুটি বিয়েরই দেনমোহর হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। দুই বান্ধবীর সঙ্গে একজনের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামন্দী ইউপি নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) খাদেমুল ইসলাম ও মটমুড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মন্জুর আহমেদ।

দুই পরিবার সূত্রে জানা যায়, আছিয়া খাতুনের সঙ্গে গত ১৫ জানুয়ারি মিজানুর রহমানের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। তবে মনোমালিন্য হওয়ায় বিয়ের তিন মাসের মধ্যে পরিবারের সম্মতিতে তাদের তালাক হয়ে যায়।

এ ঘটনার কয়েক মাস পর মিজানুর ও আছিয়ার যোগাযোগ হয় আবার। এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাথী। একপর্যায়ে মিজানুর ও আছিয়া নতুন করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে ভালোলাগার সম্পর্ক হয় মিজানুরের সঙ্গে সাথীর। পরে দুই বান্ধবী মিলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মিজানুর দুজনকেই বিয়ে করেন।

বিয়ে নিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি আছিয়াকে খুব ভালোবাসি। আছিয়ার সঙ্গে আবার সংসার করতে চাইলে সে ও সাথী মিলে আমাকে প্রস্তাব দেয় তাদের দুই বান্ধবীকেই বিয়ে করতে হবে। সেই মোতাবেক আমি গত ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার টাকা নগদ দেনমোহরে দুই কাজি অফিসে গিয়ে প্রথমে আছিয়াকে ও পরে সাথীকে বিয়ে করি।’

তিনি বলেন, ‘আয়েশার বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থেকেছে সাথী আর সাথীর বিয়ের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থেকেছে আছিয়া। আমরা তিনজনই কাজি অফিসে তথ্য গোপন করে বিয়ে করি। বিয়ের দিন বিকেলে দুজনই একসঙ্গে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে আমার বাড়িতে অবস্থান করে। এর এক দিন পর দুজনই আবার নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। বতর্মানে আমার দুই স্ত্রী তাদের মায়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।’

দুই বান্ধবীর পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে নারাজ। আছিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আছিয়া ও মিজান দুজনে বিয়ে করবে বলে আমাকে জানিয়েছিল। আমি তাতে সর্মথনও দিয়েছিলাম। মিজানকে একজনের সঙ্গে সংসার করতে হবে, তা আছিয়া হোক অথবা সাথী।’ সাথী আক্তারের মা বলেন, ‘তাই মিজানকে যেকোনো একজনের সঙ্গে সংসার করতে হবে।’

আছিয়া ও সাথীর বাড়ি পাশাপাশি, বেড়েও উঠেছেন একসঙ্গে, তারা বাল্যবন্ধু। তাদের বিয়ের খবর জানাজানি হয় সম্প্রতি। এ নিয়ে চলছে উপজেলাজুড়ে আলোচনা।

Bootstrap Image Preview